প্রতীকী ছবি।
প্রার্থীকে না পেয়ে তাঁর অন্তঃসত্ত্বা জায়ের উপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ২৯ এপ্রিল নদিয়ার শান্তিপুরে ওই ঘটনার পর এ বার অন্তঃসত্ত্বা প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে ওই ঘটনায় নাম জড়িয়েছে ভেড়িকাণ্ডে নিহত নান্টু প্রধানের ভাই ও তৃণমূল নেতা পিন্টুর।
মঙ্গলবার রাতে ভগবানপুর-১ ব্লকের উত্তরবাড় এলাকায় আক্রান্ত ওই নির্দল প্রার্থী মধুমিতা সামন্ত (ওঝা) তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি। ভগবানপুর থানায় পিন্টু প্রধান-সহ দশ জনের নামে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
মধুমিতাদেবী জানান, কেন নির্দল হিসেবে ভোট লড়ছেন, কেনই বা তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রচার করছেন তা নিয়ে তৃণমূলের লোকজন তাঁর কাকাকে হুমকি দিয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, ‘‘মঙ্গলবার রাতে আমার স্বামী ও ভাসুর খাওয়াদাওয়ার পরে কথা বলছিলেন। সেই সময় পিন্টু-সহ জনা পনেরো লোক বাড়িতে আসে। তাদের হাতে ছিল বন্দুক, বোমা, টাঙ্গি-সহ ধারালো অস্ত্র ছিল। আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে গালিগালাজ করে। আমার ভাইকে রড দিয়ে মারে। আমার এক ভাসুরকে বন্দুকের বাট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। আমার বৃদ্ধ বাবাকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়।’’ মধুমিতাদেবীর আরও অভিযোগ, ‘‘অন্তঃসত্ত্বা অবস্থাতেই বাবাকে বাঁচতে গেলে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাকে মারধর করে। আমার বাচ্চা নষ্ট করার হুমকি দেয়।’’
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি মদনমোহন পাত্র। তাঁর দাবি, ‘‘গত কাল খাগা মোড়ে শুভেন্দু অধিকারীর সভা থেকে ফেরার সময় নির্দল ও বিজেপির লোকরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। পরে তৃণমূল পাল্টা মিছিল বের করলে একটু ঝামেলা হয়। কাউকে মারধর করা হয়নি। সব অভিযোগ মিথ্যা। এটা পিন্টু প্রধানকে ফাঁসানোর চক্রান্ত। পুলিশকে বলেছি নিরপেক্ষ তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করতে।’’