সোমবার থেকে ফের হাইকোর্টে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হতে পারে।
অবশেষে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নিল কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশন। ৬৯ দিন পরে আগামিকাল, সোমবার থেকে ফের হাইকোর্টে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হতে পারে। পর্যাপ্ত বিচারপতি নিয়োগের দাবিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছিল হাইকোর্টের আইনজীবীদের তিনটি সংগঠন।
শনিবার বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি উত্তম মজুমদার বলেন, ‘‘সোমবার থেকে আমাদের সংগঠনের সদস্যদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। আশা করি, তাঁরা সোমবার থেকে মামলা লড়বেন।’’ সূত্রের খবর, অন্য দুই সংগঠন বার লাইব্রেরি ক্লাব এবং ইনকর্পোরেটেড ল সোসাইটি-ও তাদের সংগঠনের সদস্যদের কাজে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।
বার অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্তা জানান, তিনটি কারণে কর্মবিরতি শুরু হয়। পর্যাপ্ত বিচারপতি নিয়োগ, স্থায়ী প্রধান বিচারপতির নিযুক্তি এবং সুপ্রিম কোর্টে কলকাতা হাইকোর্টের প্রতিনিধি থাকা। তিনটি দাবির দু’টি মিটেছে। সেই কারণেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার। কর্মবিরতি শুরু হওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত সাত জন বিচারপতি নিযুক্ত হয়েছেন।
শুক্রবারই কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের চার আইনজীবীকে বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ওই দিনই ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্যকেও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত করেছেন রাষ্ট্রপতি। হাইকোর্টে বিচারপতি থাকার কথা ৭২ জন। নতুন চার জন নিযুক্ত হওয়ায় হাইকোর্টে বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে হল ৩৭।
তবে বার অ্যাসোসিয়েশনের অন্য এক কর্তা এ দিন স্বীকার করে নেন, কর্মবিরতির জেরে বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ হয়েছে। বিশেষত যাঁরা নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়ে হাইকোর্টে আপিল মামলা দায়ের করেছেন এবং যাঁরা জামিন বা আগাম জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, দুর্ভোগের জন্য তাঁরা বিচারপ্রার্থীদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। তাঁর দাবি, বিচারপতির সংখ্যা কিছুটা বাড়ায় মামলার নিষ্পত্তি তাড়াতাড়ি হবে।