—ফাইল চিত্র।
অগস্টে আমেরিকা যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সফরের মূল উদ্দেশ্য স্বামী বিবেকানন্দের শিকাগো বক্তৃতার ১২৫ বছর স্মরণে রামকৃষ্ণ মিশন ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যৌথ আয়োজনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া। তবে পাশাপাশি ওই সফরে নিউ ইয়র্কে একটি শিল্প সম্মেলনেরও আয়োজন করছেন মমতা। লক্ষ্য রাজ্যের জন্য লগ্নি টানা। সেখানে মার্কিন শিল্পপতিদের পাশাপাশি প্রবাসী ভারতীয় শিল্পপতিরাও থাকবেন। সম্মেলনটির আয়োজন করছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র এবং নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়।
ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কেনেথ জাস্টার শীঘ্রই কলকাতা গিয়ে মমতার সঙ্গে ওই সফর নিয়ে আলোচনা করবেন। কিছু দিন আগে তিনি কলকাতা গিয়েছিলেন। কিন্তু সে দিন মমতা জেলা সফরে ব্যস্ত থাকায় জাস্টারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দেখা হয়নি। মার্কিন দূতাবাস সূত্র বলছে, শুধু মমতার সঙ্গে দেখা করতেই শীঘ্র তিনি কলকাতায় আসতে চেয়েছেন। এর আগে বিশ্ব বাংলা সম্মেলন এবং মুম্বইয়ে শিল্পপতি সম্মেলনে মার্কিন প্রতিনিধিরা ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নতুন স্টার্ট আপ ব্যবসা এবং ভিসা সংক্রান্ত জটিলতাগুলি নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আলোচনা চলছে। এর আগে তৎকালীন মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টনও কলকাতায় মমতার সঙ্গে দেখা করতে এসে তাঁকে আমেরিকা সফরের আমন্ত্রণ জানান। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরে মমতা লন্ডন-সহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে গেলেও এখনও আমেরিকা যাননি। অতীতে বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মার্কিন সফরে যাননি। জ্যোতি বসু অবশ্য একাধিক বার যান। অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের মতো মমতা ঘন ঘন বিদেশ সফর করেন না। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর মার্কিন সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
চিনও অনেক দিনই মমতাকে তাদের দেশে ডাকছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রের মনোভাব আগে ছিল নেতিবাচক। সন্দেহ ছিল, মোদী-বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের চিন বেশি করে গুরুত্ব দিচ্ছে। এখন ডোকলাম বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে উল্টে মোদী সরকারই চিনে মমতার নেতৃত্বে সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠাতে উৎসাহী। বিদেশ মন্ত্রক সূত্র বলছে— শুধু চিন নয়, ২০১৯ সালের আগে মমতার সঙ্গেও সম্পর্কের উন্নতি চাইছেন নরেন্দ্র মোদী।
আরও পড়ুন: ভোটে ভারতী! পয়লার মশকরা ঘিরে জল্পনা