অভিজিৎ দে
হাসপাতালের পথে ডাম্পারের সঙ্গে গাড়ির মুখোমুখি ধাক্কায় মৃত্যু হল বাঁকুড়া মেডিক্যালের এক ডাক্তারের। গুরুতর জখম হয়েছেন অন্য এক চিকিৎসক ও গাড়ির চালক। বুধবার সকালে বাঁকুড়া শহরের বাইপাসে জুনবেদিয়া মোড়ের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত অভিজিৎ দে (৫৩) সল্টলেক সেক্টর ৩-র আইএ ব্লকের বাসিন্দা। তিনি বাঁকুড়া মেডিক্যালের অঙ্কোলজি বিভাগের আরএমও ছিলেন। গাড়িতে ছিলেন ওই বিভাগেরই প্রধান, দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকার বাসিন্দা অমিতাভ রায়। বাঁকুড়া মেডিক্যালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট শুভেন্দুবিকাশ সাহা জানান, অমিতাভবাবুর মাথা ও বুকে গুরুতর চোট রয়েছে। আইসিইউতে চিকিৎসা চলছে। চালক, বাঁকুড়ার বড়জোড়ার প্রতাপপুরের বাসিন্দা রঞ্জিতকুমার মণ্ডলের অবস্থা স্থিতিশীল।
অমিতাভবাবু ও অভিজিৎবাবুর এ দিন বাঁকুড়া মেডিক্যালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা করার কথা ছিল। দু’জনে একসঙ্গে ট্রেনে দুর্গাপুরে আসেন। স্টেশন থেকে গাড়িটি ভাড়া করে রওনা হন তাঁরা। পুলিশের অনুমান, ডাম্পারটি খুব জোরে আসছিল। গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে গাড়িতে ধাক্কা দেয়। দুমড়েমুচড়ে যায় গাড়িটি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিজিৎবাবুর। ডাম্পার ফেলে চম্পট দেয় চালক ও খালাসি। বিকট আওয়াজে আশপাশ থেকে কয়েকজন নির্মাণশ্রমিক ছুটে আসেন। গাড়ির দরজা ভেঙে উদ্ধারকাজ শুরু করেন। পরে অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে আসে পুলিশ।
অভিজিৎবাবুর ডাক্তারির পাঠ উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। কাজ শুরু হাজরার চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালে। মাঝে সেনাবাহিনীতেও ছিলেন। বাঁকুড়া মেডিক্যালে যোগ দেন বছর তিনেক আগে। রয়েছেন মা ছায়া দে এবং স্ত্রী সোমা। ছেলে দেবার্চন দিল্লিতে পড়াশোনা করেন। খবর পেয়ে ফিরে এসেছেন। বুধবার বাঁকুড়া এসেছিলেন অভিজিৎবাবুর স্ত্রী সোমা, বোন মৌমিতা এবং ভগ্নীপতি কেশব রক্ষিত। তাঁরা জানান, রাতেই দেহ নিয়ে কলকাতায় ফিরছেন।