রবিবারের পরিচিত মেজাজে ‘চৈত্র সেল’

গমগম করছে আসানসোল শহরের বড়বাজার। ঠিক যেমনটা করে ফি-বছর। কয়েক দিন টানা গোলমাল আর আতঙ্কের পরিবেশের পরে রবিবার ‘চৈত্র সেলে’র চেনা ভিড়টা ফিরে এসেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৩২
Share:

বন্ধু চল: তেতে উঠেছিল আসানসোলের রেলপাড়। রবিবার সেই এলাকায় ফুটবল নিয়ে দাপাদাপি। —নিজস্ব চিত্র।

ফুটপাতের দোকানি গলার শিরা ফুলিয়ে চেঁচাচ্ছেন, ‘হরেক মাল ৯০ টাকা’। কম যান না পাশের জনও। গলা চড়িয়ে হাঁক দিচ্ছেন, ‘এ সুযোগ পাবে না আর...সব ম্যাক্সি ১২০ টাকা!’

Advertisement

গমগম করছে আসানসোল শহরের বড়বাজার। ঠিক যেমনটা করে ফি-বছর। কয়েক দিন টানা গোলমাল আর আতঙ্কের পরিবেশের পরে রবিবার ‘চৈত্র সেলে’র চেনা ভিড়টা ফিরে এসেছে। গত ক’দিন দোকান খুলতে পারেননি মহম্মদ মনসুর আলম, মহম্মদ তৌসিক, কমল গড়াই, সন্তোষ প্রসাদেরা। একই ফুটপাথে সকলে এ দিন পাশাপাশি বসেছিলেন জামাকাপড়ের পসরা সাজিয়ে। ‘৫০০ খুচরো হবে?’, আলমকে জিজ্ঞেস করতে করতেই ক্রেতার ভিড় সামাল দিতে ব্যস্ত কমল জানান, বছরের এই সময়টা বাড়তি কিছু রোজগার হয়। কিন্তু গোলমালের দিনগুলিতে দোকান বন্ধ থাকায় ক্ষতি হয়েছে তাঁদের। তৌসিক অভয় দিলেন, ‘যা লোক, আর ক’দিন যাক। ঠিক পুষিয়ে যাবে।’

ক্ষতি পুষিয়ে লাভ হবে, এই বিশ্বাস রয়েছে বাজারের বড় বস্ত্র বিপণিগুলির কর্ণধারদেরও। বিক্রেতাদের ভরসা জুগিয়ে এ দিন বার্নপুর থেকে বাজারে এসেছিলেন সঞ্জয় সেনগুপ্ত, পল্টু কর্মকারের। তাঁদের কথায়, ‘‘পয়লা বৈশাখ আসছে। প্রতি বছরই কেনাকাটা করি। প্রথম পছন্দ আসানসোল বাজার। আশঙ্কা একটা ছিল। কিন্তু, এ দিন মন ভরে বাজার করেছি।’’ শহর ছন্দে ফেরায় বাচ্চাদের হাত ধরে মহিলাদের ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। ছেলেমেয়ের জন্য জামা বাছাই করতে করতেই বার্নপুরের মালতি দে বললেন, ‘‘আর ভয় কী। সবই তো স্বাভাবিক।’’

Advertisement

শিল্পাঞ্চল তো বটেই, পড়শি জেলা পুরুলিয়া, বাঁকুড়া থেকে বেশ কয়েক জন এসেছিলেন। তবে, সংখ্যায় কম। এ সব দেখেই রবিবার দিনের শেষে স্থানীয় বাসিন্দা, বণিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দত্ত বলেন, ‘‘মেজাজ ফিরছে বাজারের। বিক্রিবাটাও ভাল হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন