জয়েন্টে প্রশ্ন-প্যাকেট খুলবেন পরীক্ষার্থীই

জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির সুভাষনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র খোলার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। উচ্চ মাধ্যমিকেও বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বাইরে চলে আসার অভিযোগ ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৮ ০৩:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

মাধ্যমিকে কিছু কিছু পরীক্ষার অনেক আগে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলার অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় চলছে। তারই মধ্যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আর পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রতিনিধি-প্রধান নয়। এ বার থেকে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলবেন স্বয়ং পরীক্ষার্থী। প্রশ্নপত্রের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য রাজ্য জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

Advertisement

জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ির সুভাষনগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের আগেই মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র খোলার মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। উচ্চ মাধ্যমিকেও বাংলা ও ইংরেজি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র বাইরে চলে আসার অভিযোগ ঘিরে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। এই ধরনের বিভ্রান্তি-বিতর্ক থেকে দূরে থাকার জন্যই সতর্ক হতে চাইছে জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড।

প্রত্যেক পরীক্ষার্থীর জন্য আলাদা আলাদা প্যাকেটের ব্যবস্থা করেছে বোর্ড। প্লাস্টিক জ্যাকেটের মধ্যেই সিল দেওয়া প্রশ্নপত্র এবং ওএমআর শিট থাকবে। নজরদারের নির্দেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থী সেটি খুলবেন। অন্য কেউ তা খুলতে পারবেন না। শুক্রবার জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয়েন্দু সাহা এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয়, তাঁর জন্য আমরা সতর্ক। প্রশ্নপত্র নিয়ে তাই এ বার থেকে এই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’ কয়েক বছর ধরেই জয়েন্ট বোর্ড এই পরীক্ষা ঘিরে নানা রকম নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়ে চলেছে। মলয়েন্দুবাবু জানান, এ বারেও নকল ধরতে পরীক্ষা কেন্দ্রে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেক্টর ব্যবহার করা হবে। পরীক্ষার্থীরা ডিজিটাল ঘড়ি পরে আসতে পারবেন না। মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ। মোবাইল ফোন শুধু থাকবে বোর্ডের পর্যবেক্ষক এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের ইনচার্জের কাছে।

Advertisement

২২ এপ্রিল জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা।
এখন এই প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয় শুধু রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে ভর্তির জন্য। গত বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল এক লক্ষ ১৭ হাজার ৫৪৪। এ বছর তা বেড়ে হয়েছে এক লক্ষ ২৫ হাজার ৭৫।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন