প্রতীকী ছবি।
শিশুপাচার রুখতে অভিভাবকদের সঙ্গে স্কুলের যোগাযোগ বাড়ানোর দাওয়াই দিল প্রশাসন।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা স্কুলশিক্ষা দফতর নির্দেশ দিয়েছে, পড়ুয়াদের বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকদের যোগাযোগ রাখতে হবে। টানা পাঁচ দিন কোনও ছাত্রী অনুপস্থিত থাকলে তার বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি জেলা স্কুল শিক্ষা দফতরের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান জেলা স্কুল পরিদর্শক অফিসের এক কর্তা। পাশাপাশি পুলিশ, প্রশাসন ও দফতরের আধিকারিকদের মোবাইল নম্বর স্কুলে ঝোলাতে হবে।
জেলা প্রশাসনের দাবি, অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবে শিশু পাচারের সমস্যা পুরোপুরি মিটিয়ে ফেলা যায়নি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘‘শিশু পাচারকে নির্মূল করতে গেলে স্কুল স্তর থেকে সচেতন করার প্রয়োজন। তাই এক্ষেত্রে স্কুলগুলিকে প্রাথমিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সঙ্গে গোটা প্রশাসন রয়েছে।’’
জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক) উত্তম চট্টোপাধ্যায় ও জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বাদলকুমার পাত্র জানান, নির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে। প্রথমেই উঠে এসেছে, প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়। বিশেষ করে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা জরুরি। কারণ অর্থাভাবই শিশুপাচারের অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তাঁরা। সেই অভিভাবকদের ফোন নম্বরের তালিকা তৈরি করতে হবে স্কুলগুলিকে।
প্রতিটি স্কুলে ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক, সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার, সহ জেলা স্কুল পরিদর্শকের নম্বর ঝোলাতে হবে। যেন কোনও রকম অসুবিধা হলে বা স্কুলের বাইরে পাচারের জন্য কেউ ফাঁদ পাতলে দ্রুত পুলিশের কাছে খবর পৌঁছয়।এমনকী, স্কুলের আশেপাশে সন্দেহজনক ভাবে কেউ ঘোরাঘুরি করলেও ওই সমস্ত নম্বরে ফোন করা যেতে পারে।
রাজ্যের অন্যত্র বা বাইরে কাজের প্রলোভনে না পড়ে কী ভাবে বাঁচতে হয়,সেই পথও বলে দেওয়া হবে অভিভাবকদের। কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী-সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রেও সহযোগিতা করবে স্কুল। একই ভাবে স্কুল-ছুট কমাতে স্কুলকে আরও বেশি সক্রিয় হতে হবে।
মালদহ জেলা স্কুলশিক্ষা দফতরের এক কর্তা জানান, সম্প্রতি একটি পোর্টাল করা হয়েছে। তার সঙ্গে যোগ করা হয়েছে স্কুলগুলিকে। কোনও ছাত্রী এক সপ্তাহ অনুপস্থিত থাকলেই সেটা পোর্টালে জানাবেন শিক্ষকরা। তার ভিত্তিতেই জেলা প্রশাসন পদক্ষেপ করবে।