প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের সংগঠক শিক্ষকদের আশার আলো দেখাল সুপ্রিম কোর্ট। গ্রামের পাঠশালায় যাঁরা পড়াতেন, তাঁরা কাজ হারিয়ে প্রাথমিক স্কুলে চাকরির দাবিতে ১০ বছর ধরে মামলা লড়ছেন। তাঁদের মধ্যে কত জন যোগ্য, তা খতিয়ে দেখার জন্য পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকদের নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। নির্দেশ ছিল, যোগ্যতা থাকলে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কিন্তু সেই কমিটি জানায়, ৭ থেকে ৮ হাজার দাবিদারের মধ্যে কেউই যোগ্য নয়। অভিযোগ ওঠে, আদৌ যাচাই করা হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট চায়।
আজ বিচারপতি কুরিয়ান জোসেফের বেঞ্চে রাজ্য জানায়, পঞ্চায়েত নির্বাচন চলছে। রিপোর্ট জমা দিতে চার সপ্তাহ সময় দেওয়া হোক। কিন্তু সময় না বাড়িয়ে আজ সুপ্রিম কোর্ট পশ্চিমবঙ্গ লিগ্যাল এইড অথরিটি-র সচিবকে ৯০ দিনের মধ্যে সমস্ত দাবিদারের নথি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে। পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানান, তাঁদেরও রিপোর্ট প্রস্তুত করতে বলেছে সর্বোচ্চ আদালত। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ রায়ের কপি পাইনি। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ীই কাজ হবে।’’ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৈরি রিপোর্ট পাঠানো হবে রাজ্য শিক্ষা দফতরে। সংগঠক শিক্ষকদের আইনজীবী শান্তিরঞ্জন দাসের দাবি, যোগ্য প্রার্থীদের শিক্ষক নিয়োগে অগ্রাধিকার দিতে হবে।