পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে ইঞ্জিনিয়ারিং বা ম্যানেজমেন্ট পড়ছেন। কিন্তু চাকরি জুটছে না অনেকেরই।
কেন মিলছে না চাকরি? তার অনেক কারণ থাকতে পারে। সেই সব সমস্যার সমাধানও হয়তো হতে পারে অনেক রকম। তেমনই একটি সমস্যার দিকে ইঙ্গিত করে সুরাহার রাস্তাও বাতলে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানাচ্ছেন, চাকরি ক্ষেত্রে উপযুক্ত হয়ে ওঠার
জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়াদের বিশেষ ভাবে ইংরেজি শিক্ষা দেওয়া দরকার। রবিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক শিক্ষামেলায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্তাদের কাছে শিক্ষামন্ত্রী প্রস্তাব দেন, ভর্তির পরে পড়ুয়াদের জন্য ছ’সপ্তাহের ইংরেজি শিক্ষার ব্যবস্থা করা হোক। ‘‘শুধু ভাল ছাত্র হলেই হবে না। প্রেজেন্টেবল (উপস্থাপনায় পারদর্শী, সোজা কথায় পাতে দেওয়ার যোগ্য) হতে হবে। নইলে ইন্টারভিউ বোর্ডে গিয়ে পেরে উঠবে না,’’ বললেন পার্থবাবু।
এ দিনের অনুষ্ঠানে ছিলেন মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বা ম্যাকাউটের উপাচার্য সৈকত মৈত্র। পরে তিনি জানান, পড়ুয়াদের জন্য তাঁরা ইতিমধ্যেই অনলাইনে ইংরেজি শিক্ষার ব্যবস্থা করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলের ছেলেমেয়েরা পরীক্ষার ফল ভাল করছেন। কারণ হিসেবে তাঁর বক্তব্য, শহরের ছেলেমেয়েরা ক্রিকেট, ক্যারাটে ইত্যাদি নিয়ে ব্যস্ত। তিনি বলেন, ‘‘এর সঙ্গে পড়াশোনাটা করতে হবে। শুধু ডাউনলোড করে জেনে নেব, এই মনোভাবে জ্ঞানের পরিধি নষ্ট হচ্ছে।’’
বিভিন্ন পরীক্ষার মূল্যায়ন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন শিক্ষামন্ত্রী। সিবিএসই দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় প্রথম হওয়া মেঘনা শ্রীবাস্তব ৫০০ নম্বরের মধ্যে পেয়েছেন ৪৯৯। মাত্র একটি নম্বর কাটা গিয়েছে তাঁর। সেই উদাহরণ টেনে শিক্ষামন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘আমাদের এখানে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে সঙ্কীর্ণতা রয়েছে। নিয়মকানুনগুলো শিথিল করা দরকার। এটা আমরা দেখছি।’’ এর পরেই শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘এ-সব করতে গেলে তো আবার বলবে স্বাধিকারে হাত দিচ্ছে!’’
শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্যের সব জেলাতেই একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুরে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে।