State News

দলে আসতে আবেদন করুন, বয়ান তৈরি তৃণমূলে

বিক্ষুব্ধ বিজয়ীদের ফিরিয়ে নেওয়া নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে নানারকম গুঞ্জন রয়েছে। তৃণমূলের একাংশের মতে, সেই কারণেই এই বয়ান ও আবেদনের কথা ভেবেছেন দলীয় নেতৃত্ব। তাঁদের ব্যাখ্যা, এবারের নির্বাচনে একেবারে চরম প্রতিপক্ষের মতোই দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াই করেছেন এই বিক্ষুব্ধরা।

Advertisement

রবিশঙ্কর দত্ত

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৮ ০৩:৫৪
Share:

তৃণমূলের উন্নয়নে শামিল হতে চান—দলে নেওয়ার জন্য নির্দল ও বিজেপির ‘ইচ্ছুক’ বিজয়ীদের কাছ থেকে এই বয়ানেই আবেদন চাইছে তৃণমূল। যেখানে যাঁকে দলে নেওয়া হবে, তাঁকে এভাবেই তৃণমূলের সংশ্লিষ্ট জেলা সভাপতির কাছে লিখিত আবেদন করতে হবে বলে ভাবা হয়েছে।

Advertisement

বিক্ষুব্ধ বিজয়ীদের ফিরিয়ে নেওয়া নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে নানারকম গুঞ্জন রয়েছে। তৃণমূলের একাংশের মতে, সেই কারণেই এই বয়ান ও আবেদনের কথা ভেবেছেন দলীয় নেতৃত্ব। তাঁদের ব্যাখ্যা, এবারের নির্বাচনে একেবারে চরম প্রতিপক্ষের মতোই দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে লড়াই করেছেন এই বিক্ষুব্ধরা। আর তাঁরাই যে এখন ‘স্বেচ্ছায়’ দলে ফিরতে আর্জি জানাচ্ছেন, সে প্রমাণই রাখতে চাইছে তৃণমূল। পাশাপাশি নেতৃত্বের আর এক অংশের মতে, ভবিষ্যতে নির্দলদের নেওয়া নিয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এইরকম লিখিত আবেদনের কথা ভেবেছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে জোর করে দলবদল করানোর অভিযোগ খন্ডন করতেও এই আবেদন হাতে রাখতে চান দলীয় নেতৃত্ব। এই নির্দলদের সঙ্গে একই বন্ধনীতে রাখা হচ্ছে বিজেপি সহ অন্য বিরোধীদেরও। তাঁদেরও একইরকম বয়ানে লিখিতভাবে সংশ্লিষ্ট জেলা নেতৃত্বের কাছে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আবেদন করতে হবে।

অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে তিন স্তরের বিজয়ীদের শপথগ্রহণ হয়ে যেতে পারে বলে আশা করছে তৃণমূল। তাই তার আগেই বিজয়ী নির্দলদের দলে জায়গা দিতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই দলের নীতিগত অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন শীর্ষনেতৃত্ব। তাই এলাকাভিত্তিক এই বিজয়ীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার প্রক্রিয়াও শুরু করা হয়েছে। জেলা সভাপতিদের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় স্তরে ভারপ্রাপ্ত নেতা-বিধায়কেরা কথাবার্তা শুরু করেছেন। দলের এক জেলা সভাপতির কথায়, ‘‘সাধারণভাবে এ নিয়ে সমস্যা নেই। তবে দলের নির্দিষ্ট করা নিয়ম সকলকে মানতে হবে।’’

Advertisement

এক বছরের মাথায় লোকসভা নির্বাচন। ফলে এই প্রক্রিয়ার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও সতর্ক থাকছেন শাসকদলের নেতারা। যাঁরা দলের বিরুদ্ধে লড়ে জিততে পারেননি, তাঁদের ব্যাপারে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হয়নি। বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। দলের এক শীর্ষনেতার কথায়, ‘‘নির্বাচনে যাঁরা দলের বিরোধিতা করেছেন, তাঁদের মধ্যে তো বিজয়ী বা পরাজিতের ফারাক করা যায় না। কোথাও বিশেষ সমস্যা না হলে এই নিয়ম একই হওয়া উচিত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন