ফাইল চিত্র।
বোলপুরে নির্মীয়মাণ বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের জন্য নাম সুপারিশ করতে সার্চ কমিটিকে সময় দেওয়া হয়েছিল তিন সপ্তাহ। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু কমিটি নাম জানাতে পারেনি।
৮ মার্চ উচ্চশিক্ষা সচিব আরএস শুক্লের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বাছাইয়ের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটিতে রাখা হয় সিদো-কানহু-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপকরঞ্জন মণ্ডল, রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য সব্যসাচী বসুরায়চৌধুরী, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়াকে। সাধারণত সার্চ কমিটি তৈরির পরে উপাচার্য বাছাইয়ের তালিকা তৈরিতে কয়েক মাস লাগে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তিন সপ্তাহের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিকাশ ভবনের এক আধিকারিক জানান, বিশ্ব বাংলা বিশ্ববিদ্যালয় বিল বিধানসভায় পাশ হয় নভেম্বরে। সংশ্লিষ্ট আইনে বলা আছে, এই বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির বিজ্ঞপ্তি সরকারি গেজেটে প্রকাশের তিন মাসের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে আচার্য-রাজ্যপাল নতুন উপাচার্য নিয়োগ করবেন।
গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ৯ জানুয়ারি। তাই উপাচার্য নিয়োগের শেষ দিন ৯ এপ্রিল। তিন সপ্তাহের মধ্যে সার্চ কমিটিকে তাদের সুপারিশ জমা দিতে বলা হয়েছিল। বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, সার্চ কমিটির তিন সদস্য এই বিষয়ে ফোনে নিজেদের মধ্যে কথা বললেও একসঙ্গে কোনও বৈঠক করে উঠতে পারেননি। সার্চ কমিটি উপাচার্যের নাম সুপারিশের জন্য আরও কয়েক দিন সময় চেয়েছে। এক আধিকারিক জানান, আগামী সপ্তাহের মধ্যে সার্চ কমিটিকে নাম সুপারিশ করতেই হবে।
প্রেসিডেন্সির পরবর্তী উপাচার্য মনোনয়নের জন্যও সার্চ কমিটি গড়া হয়েছে। কমিটির নেতৃত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি-র প্রাক্তন চেয়ারম্যান বেদ প্রকাশ। তিনি কমিটিতে রাজ্যপালের মনোনীত সদস্য। নিয়ম অনুযায়ী রাজ্যপালের মনোনীত সদস্যই সার্চ কমিটির নেতৃত্বে থাকেন। বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, তিন সদস্যের সার্চ কমিটিতে অন্যেরা হলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, জৈবপ্রযুক্তি বিজ্ঞানী নির্মল গঙ্গোপাধ্যায় এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি সিদো-কানহু-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপকরঞ্জন মণ্ডল। ২০১৪ সালের ২ মে প্রেসিডেন্সিতে উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছিলেন অনুরাধা লোহিয়া। আগামী মে মাসে তাঁর কার্যকাল শেষ হওয়ার কথা।