পাঠ্যসূচি তৈরি হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে এ বার প্রাথমিক স্তরেও কম্পিউটার শিক্ষা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
কয়েক বছর আগেই রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে কম্পিউটার শিক্ষা চালু হয়েছে। এখন মূলত পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত কম্পিউটারের পাঠ দেওয়া হয়। কোনও কোনও স্কুলে অবশ্য আগ্রহী ছাত্রছাত্রীদের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্তও তা পড়ানো হচ্ছে। কিন্তু কোথাও বাঁধাধরা কোনও পাঠ্যসূচি এখনও নেই। স্থায়ী নন কম্পিউটারের শিক্ষক-শিক্ষিকারাও। চুক্তির ভিত্তিতে পড়ান তাঁরা।
স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, সরকার চাইছে, রীতিমতো পাঠ্যসূচি তৈরি করে কম্পউটার শিক্ষা দেওয়া হোক পড়ুয়াদের। সেই অনুযায়ী রাজ্য পাঠ্যক্রম কমিটি আগে নবম-দশম শ্রেণির কম্পিউটার পাঠ্যক্রম তৈরি করেছে। তার পরে তৈরি করেছে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রম। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির খুদে পড়ুয়ারা কম্পিউটারের পাঠ কতটা আয়ত্ত করতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় আছে। তাই প্রাথমিক স্তরে তৃতীয় শ্রেণি থেকে কম্পিউটার চালু করার উদ্যোগ চলছে। শিক্ষা সূত্রের খবর, পাঠ্যক্রম কমিটি ইতিমধ্যেই স্কুলশিক্ষা দফতরে ওই পাঠ্যক্রম জমা দিয়েছে। যে-সব প্রাথমিক স্কুলে পরিকাঠামো রয়েছে, সেখানেই আগে কম্পিউটার পাঠ্যক্রম চালু করার কথা ভাবা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধাম্ত নেবেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
আইসিএসই এবং সিবিএসই বোর্ড অনুমোদিত স্কুলগুলিতে প্রাথমিক স্তরে বেশ কয়েক বছর আগেই কম্পিউটার শিক্ষা চালু হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার রামমোহন মিশন স্কুল আইসিএসই বোর্ডের অনুমোদিত। সেখানকার অধ্যক্ষ সুজয় বিশ্বাস জানান, প্রথম শ্রেণি থেকে কম্পিউটার শিক্ষা চালু করার নির্দেশ দিয়েছে বোর্ড। তবে তাঁরা প্রাক্-প্রাথমিক স্তর থেকেই কম্পিউটার চেনার ক্লাস চালু করেছেন।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির নেতা স্বপন মণ্ডলের বক্তব্য, রাজ্য সরকার যে প্রাথমিক স্তরেও কম্পিউটার শিক্ষা চালু করতে উদ্যোগী হয়েছে, এটা খুবই ভাল ব্যাপার।
তবে সব স্কুলে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরি করে নিয়ে তার পরে একসঙ্গেই সর্বত্র এই পাঠ্যক্রম চালু করলে ভাল হয়।