মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্যাশ্রী প্রকল্পে বাংলার মেয়েরা নানা ভাবে উপকৃত তো হচ্ছেই। সেই সঙ্গে ওই প্রকল্পের ফলে বাল্যবিবাহ এবং বাল্যবিবাহের নামে পাচারের ঘটনা অনেকটাই বন্ধ করা গিয়েছে বলে দাবি করলেন রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা।
তথ্য-পরিসংখ্যান তা হলে কী ভাবে বলছে, মানুষ পাচার বাড়ছে? শুক্রবার আমেরিকান সেন্টারে মানুষ পাচার রোধের এক অনুষ্ঠানে তারও ব্যাখ্যা দিয়েছেন শশীদেবী। তিনি বলেন, ‘‘আগে পাচারের খবর তেমন জানা যেত না। কেননা বাবা-মা অভিযোগ নথিভুক্ত করাতেন না। ধীরে ধীরে সচেতনতা বাড়ছে। তাই নিখোঁজ মেয়ের বাবা-মায়েরা অভিযোগ দায়ের করছেন। সেই নথিভুক্তির জন্যই তথ্য-পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে যে, মানুষ পাচার বাড়ছে।’’
রাজ্যের দাবি, পাচার রোধে কেন্দ্রীয় বিল আসার আগেই এখানে তৈরি হয়েছে ‘স্টেট অ্যাকশন প্ল্যান’। শশীদেবী জানান, সার্বিক পরিকল্পনা ছাড়াও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং জলপাইগুড়ি জেলায় পৃথক অ্যাকশন প্ল্যান করা হয়েছে। সেখানে তৃণমূল স্তরে নজরদারি ও সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, পুলিশ, নারী-শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের বিভিন্ন বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, ব্লক এবং গ্রাম স্তরের শিশু সুরক্ষা সমিতিগুলিকে একজোট করে একটি পৃথক কমিটি গড়ে তোলা হচ্ছে।
মানুষ পাচারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যের সরকারি প্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে নিয়ে আমেরিকান সেন্টারে ‘কনক্লেভ’-এর আয়োজন করা হয়েছে। কলকাতায় নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেল ক্রেগ হল এ দিনের অনুষ্ঠানে
জানান, সচেতনতামূলক সেমিনার, কর্মশালার মাধ্যমে এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ করতে আমেরিকান কনস্যুলেট কাজ করে চলেছে। ভবিষ্যতেও করবে।