শুক্রবার ১১টি বুথের পুনর্নির্বাচন বয়কট করছে বামফ্রন্ট, কংগ্রেস, বিজেপি। বিজেপি আবার শুধু পুনর্নির্বাচনই নয়, ভোট গণনাও বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির সঙ্গে দেখা করে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শুক্রবারের ভোট বয়কটের কথা জানিয়ে এলেন রাজ্য বামফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। বার বার অনুরোধ সত্ত্বেও অস্থায়ী রাজ্য নির্বাচন কমিশনার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের সঙ্গে দেখা করেননি বলে বাম নেতাদের দাবি। তাই রাজ্যপালকেই নিজেদের অভিযোগের কথা জানিয়ে পুনর্নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে বামেরা।
গত ৩ অক্টোবর পুর নির্বাচনের ভোট গ্রহণে বিধাননগর, আসানসোল ও বালিতে শাসক দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক রিগিং-এর অভিযোগ ওঠে। নির্বাচন বাতিলের দাবি জানায় সব বিরোধী দলই। এর মাঝে নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে সুশান্তরঞ্জন উপাধ্যায়ের ইস্তফা এবং সেই পদে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্তর্বর্তীকালীন অভিষেক ঘটেছে। বিরোধীরা নির্বাচন বাতিলের দাবিতে এখনও অনড়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ ভবন থেকে বেরিয়ে বাম নেতারা জানান, তাঁরা নিজেদের দাবিদাওয়া এবং অভিযোগ আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তুলে ধরার জন্য তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন। দু’বার আবেদন জানানো সত্ত্বেও আলাপনবাবু দেখা করতে রাজি হননি বলে বামেদের অভিযোগ। তাঁরা বলেন, তরুণ দত্ত থেকে মীরা পাণ্ডে পর্যন্ত কোনও নির্বাচন কমিশনারই রাজনৈতিক দলের তরফে সাক্ষাৎকারের আবেদন এভাবে কখনও প্রত্যাখ্যান করেননি। বাম নেতারা জানিয়েছেন, নিজেদের অভিযোগ তাঁরা রাজ্যপালের কাছেই তুলে ধরেছেন। রাজ্যপালকেই তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন, ভোটের নামে প্রহসনের প্রতিবাদে শুক্রবারের ভোট তাঁরা বয়কট করছেন।
কমিশনের উপর চাপ তৈরির করার পথ থেকে অবশ্য বামেরা সরছে না। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমের সম্পাদক গৌতম দেবের নেতৃত্বে বিধাননগর পুর নিগমের বাম প্রার্থীরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দফতরে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছেন বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে।
শুক্রবারের পুনর্নির্বাচন বয়কট করছে কংগ্রেস, বিজেপি-ও। বিজেপি রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা সাংবাদিক সম্মেলন করে ঘোষণা করেন, কালকের পুনর্নির্বাচনই শুধু নয়, গণনা পর্যন্ত বয়কট করবে তাঁর দল। “ভোটের নামে প্রহসন চলছে। শাসক দলের স্তাবকতা করছে নতুন নির্বাচন কমিশনার”- বলেন রাহুলবাবু।