একশো দিনের কাজে ফের সেরা পশ্চিমবঙ্গ

মুখ্যমন্ত্রী জানান, একশো দিনের কাজের মাধ্যমে জীবন-জীবিকার বিকাশ এবং প্রকল্পের সঙ্গে বিভিন্ন দফতরের কাজের সার্বিক সমন্বয় ঘটিয়ে প্রথম স্থানাধিকারী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:৩৩
Share:

—ফাইল চিত্র।

একশো দিনের কাজে আবার শীর্ষস্থানে পশ্চিমবঙ্গ— শনিবার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

এ দিন ফেসবুক-বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানান, একশো দিনের কাজের মাধ্যমে জীবন-জীবিকার বিকাশ এবং প্রকল্পের সঙ্গে বিভিন্ন দফতরের কাজের সার্বিক সমন্বয় ঘটিয়ে প্রথম স্থানাধিকারী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এই কাজে সাফল্যের নিরিখে গোটা দেশের মধ্যে বাঁকুড়া প্রথম এবং কোচবিহার জেলা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় কুলপির বাবুরমহল গ্রাম পঞ্চায়েত সেরা কাজের পুরস্কার পেয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, পরিশ্রম, নজরদারি এবং উদ্ভাবনী পদক্ষেপের ফসল এই পুরস্কার।

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে বাঁকুড়া জেলায় ১ কোটি ৫৬ লক্ষ শ্রমদিবস তৈরি করা হয়েছিল। প্রতিটি পরিবার বছরে গড়ে ৭৫ দিন কাজ পেয়েছিল।

Advertisement

আরও পড়ুন: বরফমোড়া সান্দাকফু, সম্ভাবনা দার্জিলিঙেও

তবে শ্রমিকদের মজুরি সময়মতো না মেটানোয় ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। বিভিন্ন পঞ্চায়েত দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান মানুষজন। বাঁকুড়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) শঙ্কর নস্কর বলেন, “ওই বছর মজুরি বাবদ যা বরাদ্দ ছিল,

তার চেয়েও বেশি কাজ হয়েছিল জেলায়। তাই বছর শেষের কয়েকটি মাস শ্রমিকদের মজুরি ঠিক ভাবে দেওয়া যাচ্ছিল না। তবে সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।”

একশো দিনের কাজ প্রকল্পের জেলা আধিকারিক জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস জানান, জেলার উঁচু, মাঝারি ও নীচু জমিতে জল ধরে রাখার লক্ষ্যে ওই আর্থিক বছরে ছোট হাপা, ডোবা বা পুকুর খননে জোর দেওয়া হয়েছিল। বাঁকুড়ার ১১৮টি পঞ্চায়েতে এমন ৫৫৩টি প্রকল্প গড়ে জল ধরে রাখার কাজ করা হয়েছে। যার ফলে ৩৭ হাজার ৭৬৬ হেক্টর জমি সেচের আওতায় এসেছে। জেলার প্রায় ৭৯ কিলোমিটার নদীপথ ও নদীর পাড় সংস্কার করা হয়েছে। ৭৫৬ হেক্টর অনুর্বর জমিতে বৃক্ষরোপণ করে সাধারণ মানুষের নিয়মিত আয় সুনিশ্চিত করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন