আলাপ-আলোচনা, কমিটি গঠন করেও বেসরকারি স্কুলে ইচ্ছেমতো ফি নেওয়ার প্রবণতায় লাগাম দেওয়া যায়নি। সেই জন্য ওই সব স্কুলের ফি নিয়ন্ত্রণে এ বার বিধানসভায় বিল আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
বিকাশ ভবন সূত্রের খবর, বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের মাত্রাছাড়া ফি নেওয়া, যখন-তখন নানা অছিলায় ফি বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ফি নিয়ন্ত্রণের জন্য ২০১৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন টাউন হলে। সেখানে একটি কমিটিও গড়ে দেওয়া হয়। পরে সেই কমিটি থেকে কয়েক জন সদস্য বেরিয়ে যান। সাম্প্রতিক খবর, এ বার ফি সংক্রান্ত খসড়া পাঠানো হয়েছে নবান্নে।
স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর: ওই খসড়ায় প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, কোন স্কুল কোন ক্যাটিগরি বা স্তরের অন্তর্ভুক্ত হবে, তিনটি বিষয়ের ভিত্তিতে সেটা ঠিক করা হোক। সেই তিনটি বিষয় হল স্কুলের অবস্থান, স্কুলের পরিকাঠামো এবং স্কুলের বার্ষিক ফল। এর পরে মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে দেওয়া কমিটির সঙ্গে কথা বলে ক্যাটিগরি অনুযায়ী ফি নির্ধারণ করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁর দফতর খসড়া তৈরি করেছে। লাগামছাড়া ফি নিয়ন্ত্রণ করাই সরকারের উদ্দেশ্য। তামিলনাড়ু এবং অন্যান্য মডেলের সমন্বয়ে এটা তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে যাঁদের কথা বলেছেন, তাঁদের সঙ্গে আলোচনা হবে। ‘‘সেই আলোচনার ভিত্তিতে প্রস্তাব পাঠানো হবে মন্ত্রিসভায়। পরে বিল যাবে বিধানসভায়,’’ বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
তবে মিশনারি স্কুলগুলিতে সরকারি নিয়ম বা নিয়ন্ত্রণ আদৌ বলবৎ করা সম্ভব হবে কি না, শিক্ষা শিবির সেই ব্যাপারে সন্দিহান। রাজ্যের মিশনারি স্কুল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মলয় ডিকোস্টা বলেন, ‘‘খসড়া যে তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে সু্প্রিম কোর্টের যে-নির্দেশ রয়েছে, তাতে সংখ্যালঘু স্কুল এই বিষয়ে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিতে পারে।’’