ফাইল চিত্র।
কলেজে কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্ব নিতে উৎসাহ হারিয়েছেন শিক্ষকেরা। সেই সমস্যা কবুল করেই অধ্যক্ষের শূন্য পদ পূরণ করতে তাঁদের বাড়তি কিছু সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে রাজ্য সরকার।
বিধানসভায় বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, মোট ১৭৭ জন অধ্যক্ষের পদের মধ্যে ৬৬ জনের নিয়োগ হয়েছে। বিজ্ঞাপন দেওয়ার পরেও বাকি পদ খালি। শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘অধ্যক্ষের পদে আগ্রহ বাড়াতে পরিচালন সমিতির সঙ্গে কথা বলছি। সহ-অধ্যক্ষ পদও ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। কারণ, কলেজে কলেজে টিচার-ইন-চার্জ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না। পরিচালন সমিতির উপরে চাপিয়ে দিচ্ছেন।’’
পরে শিক্ষামন্ত্রী জানান, অধ্যক্ষদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষকদের বেতনের ফারাক মাত্র হাজার তিনেক টাকার। তাই বাড়তি বেতনের আগ্রহে খুব বেশি কেউ অধ্যক্ষ পদে যেতে চাইছেন না। এই অবস্থায় অধ্যক্ষদের জন্য গাড়ির তেল, তাঁদের ফোনের বিলের খরচ-সহ কিছু সুবিধা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এই সব প্রস্তাব নিয়েই পরিচালন সমিতির সঙ্গে কথা বলা হবে। শিক্ষা দফতরের যুক্তি, স্টুডেন্টস ফি বাবদ যে টাকা ওঠে, তার প্রায় ৫০% থাকে পরিচালন সমিতির হাতে। সেই তহবিল থেকেই অধ্যক্ষদের উৎসাহ দেওয়ার খরচ জোগানো যেতে পারে। কিন্তু রাজ্যে বারেবারে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন কলেজে ছাত্র সংসদ ও ক্ষমতাসীন সংগঠনের উৎপাতে অধ্যক্ষেরা রীতিমতো ‘ভীত’। রাজনৈতিক চাপ কি অধ্যক্ষদের সরে দাঁড়ানোর বড় কারণ নয়? শিক্ষামন্ত্রীর যুক্তি, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী তো বলেই দিয়েছেন কোনও রকম চাপের কাছে নতিস্বীকার না করতে।’’
পার্থবাবু জানাচ্ছেন, কলেজে সহ-অধ্যক্ষ পদ সাতের দশকে ছিল। এখন ফের পরিস্থিতির প্রয়োজনে সেই পদ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাতে অধ্যক্ষ না থাকলে পরিচালন সমিতির উপরে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতা কমবে বলে শিক্ষামন্ত্রীর আশা।