—ফাইল চিত্র।
‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর পরে এ বার কেন্দ্রের ‘পিএম কিষাণ’ প্রকল্পেরও শরিক না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। তারা চায় নিজের ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পটিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে।
শেষ কেন্দ্রীয় বাজেটে ‘পিএম কিষাণ’ প্রকল্পের কথা ঘোষণা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, ২ হেক্টরের কম জমি থাকা কৃষকদের বছরে ছ’হাজার টাকা করে দেবে কেন্দ্র। তিনটি কিস্তিতে এই টাকা সরাসরি কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে। কিন্তু নবান্নের এক শীর্ষকর্তার কথায়, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার কৃষকবন্ধু প্রকল্পটিকেই এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। এর সুবিধা যাতে কৃষকরা পান, তা নিশ্চিত করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। নতুন করে কেন্দ্রের ওই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রয়োজন নেই।’’
বস্তুত কেন্দ্রের আগেই গত ৩১ ডিসেম্বর ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পের আওতায় কোনও একটি চাষের জন্য কৃষক পরিবারকে একর প্রতি বছরে দু’টি কিস্তিতে মোট পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হবে। জমির পরিমাণ এক একরের কম হলে তুলনামূলক ভাবে সহায়তার অর্থ ধার্য হবে। তা ছাড়া, ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে কৃষক বা ক্ষেতমজুরের হঠাৎ মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট পরিবার ২ লক্ষ টাকা দেবে রাজ্য সরকার। প্রশাসনের অন্দরের দাবি, রাজ্যের প্রায় ৭২ লক্ষ চাষির মধ্যে ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ লক্ষ জনকে প্রকল্পের চেক দেওয়া হয়েছে। বাকিদের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হল, নবান্নকে এড়িয়ে কেন্দ্র কি নিজে থেকে রাজ্যের কৃষকদের আর্থিক সুবিধা দিতে পারে? জবাবে প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তা জানান, রাজ্য সরকার নিজে থেকে চাষিদের বিষয়ে কোনও তথ্য কেন্দ্রকে দেবে না। তবে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে যে সব
কৃষক ঋণ নিয়েছেন, তাঁদের তথ্য ব্যাঙ্ক থেকে সংগ্রহ করে অর্থ পাঠাতে পারে কেন্দ্র।