প্রতীকী ছবি।
স্কুলশিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, গত ২৮ আগস্ট এক নির্দেশিকায় জানান হয়েছে, স্কুলশিক্ষার সার্বিক মানোন্নয়ন করতে যে সমস্ত প্রকল্প শুরু হয়েছে, তা ঠিক মত বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না তার নজরদারির প্রয়োজন। তাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, জেলাগুলিতে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হবে। তাই যুগ্মসচিব পদমর্যাদার আধিকারিকদের ‘জোনাল অফিসার’ নিয়োগ করে তাঁদের উপরে বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব দেওয়া হল। সেই কাজে সাহায্য করবেন কমিশনারেটের অফিসারেরা। একটি জেলা অন্তত মাসে একবার করে পরিদর্শনের কথা বলা হয়েছে। সেই কারণে অন্তত দু’দিন করে থাকতে হবে ওই সমস্ত জেলায়। আর্থিক ও উন্নয়ন সংক্রান্ত তথ্য রাখতে হবে নিজেদের কাছে। জেলা পরিদর্শন করে ফেরার পরে তিনটি কাজের দিনের মধ্যেই রিপোর্ট পেশ করতে হবে। প্রতি মাসে অন্তত দু’টি করে জেলা পরিদর্শনের প্রয়োজন বলে জানান দফতরের এক কর্তা। এই নির্দেশিকার প্রতিলিপি দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন জেলা স্কুল পরিদর্শকদের কাছেও। এমনকি, এই নির্দেশিকা যে মন্ত্রীর সম্মতি নিয়ে করা হয়েছে সেটাও জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
স্কুল পরিদর্শনে যে ঘাটতি রয়েছে, সেই অভিযোগ উঠেছে বহুবার। গত বৃহস্পতিবার এডুকেশনাল সুপারভাইজারদের সঙ্গে বৈঠকে মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, অফিসারেরা থাকলেও সরকারের কাছে সমস্ত তথ্য আসছে না।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতির তরফে স্বপন মন্ডল বলেন, ‘‘এটাও মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকের মতোই হবে বলে মনে হয়। বৈঠকের সময় আলো ঝলমল। পরে আবার অন্ধকার। পরিদর্শন সঠিক ভাবে করলে এই পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিল না। ওতে লাভ হবে বলে মনে হয় না।’’