কোনওটার মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। কোনওটার বা আয়ু ফুরিয়েছে গত বছরের শেষ দিকে। কিন্তু এই ধরনের কোনও জেলার শিশু কল্যাণ সমিতিতেই এখনও নতুন পরিচালকমণ্ডলী গঠন করা হয়নি। এক কথায়, ওই সব জেলায় নতুন শিশু কল্যাণ সমিতিই গড়া যায়নি। ফলে অন্য জেলার শিশু কল্যাণ সমিতির মাধ্যমে ওই সব জেলার সমিতি চালাতে হচ্ছে।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে যে, বর্তমানে সারা রাজ্যে মাত্র দু’টি জেলার শিশু কল্যাণ সমিতির মেয়াদ ফুরোতে বাকি! আর তার পরেই রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, অগস্টের ১ তারিখ থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার শিশু কল্যাণ সমিতি মোট ১৩টি জেলার দায়িত্ব সামলাবে। এত দিন মুর্শিদাবাদের শিশু কল্যাণ সমিতি ওই জেলা ছাড়া আরও ছ’টি জেলার শিশু কল্যাণ সমিতির দায়িত্বভার সামলাচ্ছিল। তাদের হাতে ছিল মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনার দায়িত্ব। ১ অগস্ট থেকে এই সাতটির সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে দুই বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলার শিশু কল্যাণ সমিতির দায়িত্বভার।
অন্য দিকে, আলিপুরদুয়ার শিশু কল্যাণ সমিতির হাতে দেওয়া হয়েছে মোট আটটি জেলার দায়িত্ব। তাদের হাতে রয়েছে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, দুই দিনাজপুর, কালিম্পং এবং মালদহ জেলার শিশু কল্যাণ সমিতি।
জুভেনাইল জাস্টিস অ্যাক্ট ২০১৫-র ৩৬ নম্বর ধারার সাত নম্বর উপধারার উল্লেখ করে রাজ্যের নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতর তাদের নির্দেশিকায় জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে নতুন সমিতি গঠনের আগে পর্যন্ত তাদের সব দায়িত্ব সামলাবে মুর্শিদাবাদ ও আলিপুরদুয়ার জেলার শিশু কল্যাণ সমিতি।