বই হাতে। ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য।
দু’বছর আগে জেলে ঘুমের ওযুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করায় সাংসদ কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল কলকাতা পুলিশ। চার্জশিটও পেশ করেছে তারা। শুক্রবার আদালতে কুণালের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী দেখেন, মামলার কেস ডায়েরিতে কুণালের সুইসাইড নোটের উল্লেখটুকুই নেই।
কুণালের অভিযোগ, ২০১৪-র ১৩ নভেম্বর রাতে সেই ঘটনার পরে প্রেসিডেন্সি জেলের ঘর থেকে তাঁর যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে যায় পুলিশ। সুইসাইড নোটটিও তার মধ্যে ছিল। যেখানে কুণাল অভিযোগ করেছিলেন— তাঁর ওই অবস্থার জন্য রাজ্যের বহু প্রভাবশালী দায়ী। ওই মামলায় শুক্রবার কুণাল ব্যাঙ্কশাল আদালতে হাজির হয়ে প্রশ্ন তোলেন, ‘‘যাঁরা আমাকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিলেন, পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে কেন মামলা দায়ের করবে না?’’
সারদা মামলায় অভিযুক্ত কুণালকে ২০১৩-র ২৩ নভেম্বর গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। আদালতে কুণাল জানান, এক জন মানুষ যতখানি যন্ত্রণা পেলে, যতখানি অসহিষ্ণু হলে আত্মহত্যার ঝুঁকি নেয়, তিনি ততটাই যন্ত্রণা বোধ করেছিলেন। সেই জন্যই আত্মহত্যায় প্রবৃত্ত হয়েছিলেন। কুণাল জানান, ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরে জেল কর্তৃপক্ষ তাঁকে হাসপাতালে পাঠান। এ দিন কুণাল বলেন, ‘‘আচ্ছন্ন অবস্থায় পুলিশ আমাকে একটি কাগজে সই করিয়ে নেয়। তার পর আর আমার বয়ান নেয়নি।’’ কুণালের আইনজীবী অয়ন এ দিন বলেন, ‘‘নতুন করে কুণাল ঘোষের বয়ান নেওয়া হোক বলে আমরা আদালতে দাবি করেছি।’’
এ দিন কোর্টে মামলার তদন্তকারী অফিসার হাজির ছিলেন। কী কারণে কুণালের সুইসাইড নোট চার্জশিটে যুক্ত করা হয়নি— তা আগামী ৫ জুন তাঁকে আদালতে হাজির হয়ে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।