কেন বেকারদের ঋণ দেয়নি ব্যাঙ্ক, দেখছে পিএসি

স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণ দানের টাকা ব্যাঙ্কেই পড়ে থাকা নিয়ে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি) ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। কেন এই টাকার বড় অংশ ব্যাঙ্কের ঘরেই পড়ে রইল, বেকার যুবক-যুবতীরা ঋণ পেল না, পিএসি তা খতিয়ে দেখছে।

Advertisement

প্রসূন আচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০১৬ ০২:৫১
Share:

স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণ দানের টাকা ব্যাঙ্কেই পড়ে থাকা নিয়ে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি (পিএসি) ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে। কেন এই টাকার বড় অংশ ব্যাঙ্কের ঘরেই পড়ে রইল, বেকার যুবক-যুবতীরা ঋণ পেল না, পিএসি তা খতিয়ে দেখছে। সেই সঙ্গে সরকারের আয়-অতিরিক্ত ব্যয়কে নিয়মিত (রেগুলারাইজড) করার কাজও শুরু করেছে। কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়াকে চেয়ারম্যান করে পিএসি গঠনের পরে ছ’টি বৈঠকে উল্লেখযোগ্য কাজ বলতে এই দু’টি। মানসবাবু অবশ্য বলেছেন, ‘‘পিএসির বৈঠকে কী হচ্ছে, বাইরে তা বলা যায় না। সরকারের আর্থিক কাজ

Advertisement

খতিয়ে দেখাই পিএসির কাজ।

তা শুরু হয়েছে।’’

Advertisement

প্রথম থেকেই দলের আপত্তি উড়িয়ে দিয়ে পিএসি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন মানসবাবু। ছ’টি বৈঠকের মধ্যে বামেরা যোগ দিয়েছে একটি বৈঠকে। কংগ্রেসের সুখবিলাস বর্মা একটি বৈঠকে যোগ দিলেও পরের বৈঠকে আসেননি। তৃণমূলের বিধায়কদের নিয়েই বৈঠক চালিয়ে যাচ্ছেন মানসবাবু। তাঁর দলের একাংশের অভিযোগ, পিএসি যাতে সরকারি দুর্নীতি বা টাকা নয়-ছয় নিয়ে কিছু বেফাঁস ‘মন্তব্য’ না করে, তার জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

মেনে মানসবাবুকে এই পদে বসিয়েছেন স্পিকার।

স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, পিএসি-র বৈঠকে কিছু কাজ হচ্ছে কি? না কি মানসবাবুকে নিয়ে শুধুই রাজনৈতিক তরজা! যা এখন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী

পর্যন্ত গড়িয়েছে।

বিধানসভা সূত্রের খবর, আপাতত দু’টি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে। বেকার যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য সরকার ঋণ দেয়। বাম ও তৃণমূল দুই আমলেই সরকারি টাকার বড় অংশ ব্যাঙ্কে পড়ে আছে। বেকারদের ঋণ দেওয়া হয়নি। এমনকী এই টাকা ব্যাঙ্কে পড়ে থাকলেও সরকার তার জন্য কোনও সুদও পায়নি।

কেন ব্যাঙ্কের ঘরে টাকা পড়ে থাকলেও বেকার যুবক-যুবতীদের ঋণ দেওয়া হল না? জবাব জানতে ইউবিআই-এর শীর্ষ প্রতিনিধিকে পিএসি-র বৈঠকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তিনি জানিয়েছেন, ঋণ দানের ক্ষেত্রে জটিলতা দেখা দিয়ে‌ছিল। কত টাকা ব্যাঙ্কে পড়ে আছে, কেন পড়ে রইল, পিএসি এখন তা খতিয়ে দেখছে।

সেই সঙ্গে সরকারের আয়-অতিরিক্ত ব্যয়কে ‘নিয়মিত’ করার গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই পিএসি-র বৈঠকে এসেছেন রাজ্যের প্রিন্সিপ্যাল সিএজি। দেখা গিয়েছে, বাম আমলে ২০০৭-’০৮ সাল থেকে ২০১০-’১১ এবং তৃণমূল আমলে ২০১৩-’১৪ এবং ২০১৪-’১৫ আর্থিক বছরে আয়-অতিরিক্তি সরকারি ব্যয়কে ‘নিয়মিত’ করা হয়নি। কিন্তু এ কাজ না করলে সিএজি রিপোর্ট সম্পূর্ণ

হওয়া সম্ভব নয়। পিএসি সেই কাজে হাত দিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন