Mamata Banerjee

WB Politics: মুখ্যমন্ত্রী মমতার শপথ নিয়েও কি সঙ্ঘাতের আবহ স্পিকার-রাজ্যপালের

সম্প্রতি একটি বার্তা এসেছে বিধানসভার সচিবালয়ে। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, এর পর থেকে নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ করাবেন রাজ্যপাল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২১ ১১:০৫
Share:

মমতার শপথ নিয়ে কি সঙ্ঘাতে জড়াবেন স্পিকার-রাজ্যপাল ফাইল চিত্র।

ভবানীপুর উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় সময়ের অপেক্ষা। এমনটাই দাবি শাসকদল তৃণমূলের। রবিবার উপনির্বাচনে জয় পেলে পুজোর আগে বিধায়ক পদে শপথ নিতে পারেন মমতা। এ বার সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়েও কি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মধ্যে সঙ্ঘাত দেখা দিতে পারে? বিধানসভা সূত্রে খবর, সম্প্রতি রাজভবন থেকে একটি বার্তা এসেছে বিধানসভার সচিবালয়ে। সেই বার্তায় বলা হয়েছে, এর পর থেকে নির্বাচিত বিধায়কদের শপথগ্রহণ করাবেন রাজ্যপাল। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংবিধানিক ভাবে লোকসভার ক্ষেত্রে সাংসদদের শপথগ্রহণ করানোর দায়িত্ব দেশের রাষ্ট্রপ্রতির। রাজ্য বিধানসভার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব পান রাজ্যের রাজ্যপাল। কিন্তু প্রায় সব ক্ষেত্রেই সাংসদ বিধায়কদের শপথগ্রহণের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপাল দিয়ে দেন তাঁর মনোনীত ব্যক্তিকে। লোকসভার ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় স্পিকারকে। বিধানসভার ক্ষেত্রে রাজ্যপাল সেই দায়িত্ব দেন সংশ্লিষ্ট বিধানসভার স্পিকারকে। রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপালের দেওয়া সেই ক্ষমতা এ বার প্রত্যাহার করে নেওয়া হতে পারে।

Advertisement

রাজভবন থেকে বিধানসভায় পাঠানো বার্তায় জানানো হয়েছে, সংবিধানের ১৮৮ ধারা অনুযায়ী শপথগ্রহণ নিয়ে রাজ্যপাল এত দিন যে অধিকার স্পিকারকে দিয়েছিলেন, তা প্রত্যাহার করা হবে। ঘটনাচক্রে, বহু দিন ধরেই পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালরা এই দায়িত্ব স্পিকারকে দিয়ে রেখেছিলেন। সেই অধিকার আইন বলে প্রত্যাহার করে নিতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল। এখনও অবশ্য এই প্রসঙ্গে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মনে করা হচ্ছে, রবিবার ভবানীপুর-সহ শামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর এ বিষয়ে মুখ খুলতে পারেন তিনি।

আগামী বুধবার মহালয়ার দিন থেকে পুজোর মেজাজে চলে যাবে গোটা রাজ্য। তাই মনে করা হচ্ছে, তিন বিধায়কের শপথ হতে পারে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই। আর তখন প্রকাশ্যে আসতে পারে রাজভবন-বিধানসভার দ্বন্দ্ব।

Advertisement

স্পিকারের সঙ্গে রাজ্যপালের সঙ্ঘাত নতুন নয়। এর আগে বিধানসভায় তাঁর বক্তৃতা সম্প্রচার করতে দেওয়া নিয়ে সঙ্ঘাত হয়েছিল রাজ্যপাল-স্পিকারের। রাজ্যপালের বাজেট বক্তৃতা সম্প্রচার করতে চেয়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিল রাজভবন। নিজের ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে রাজভবনের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বিমান। আবার পর পর দু’বার সর্বভারতীয় স্পিকারদের সম্মেলনে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লোকসভার স্পিকারের কাছে নালিশ করেছিলেন বিমান। বেশ কয়েক বার পত্রযুদ্ধও চলেছিল দু’জনের। এ ক্ষেত্রে যে বিধানসভার সঙ্গে রাজভবনের সঙ্ঘাত অনিবার্য, তা স্বীকার করে নিচ্ছেন বিধানসভার এক শীর্ষ আধিকারিক। কারণ প্রসঙ্গে তিনি জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বিধায়ক হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করাতে আগ্রহী বিমান। সেই ঘটনায় রাজ্যপালের কারণে ছেদ পড়লে জবাব দিতেই পারেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন