—প্রতীকী ছবি।
ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধার। তাঁর নাম শুক্লা চক্রবর্তী (৭২)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটির গিরিশ ঘোষাল রোডে। সোমবার রাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্রে ডেঙ্গির উল্লেখ রয়েছে।
অন্যদিকে সোমবারই জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ভদ্রেশ্বরের বাসিন্দা অমর বন্দ্যোপাধ্যায়ের (৫৭)। তাঁর মৃত্যুর শংসাপত্রে অবশ্য ডেঙ্গির উল্লেখ নেই। যদিও তাঁর পরিবারের দাবি, ডেঙ্গিতেই মৃত্যু হয়েছে অমরবাবুর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্লাদেবীর ছেলে আশিস চক্রবর্তী গত ১৫ দিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। তিনি সল্টলেক আইটি সেক্টরের চাকরি করেন। জ্বর না কমায় ১৫ নভেম্বর আশিসকে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত রবিবার তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।
শনিবার থেকে জ্বর শুরু হয় শুক্লাদেবীর। রবিবার তাঁকে নৈহাটি পুরসভার মাতৃসদনে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেদিনই তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়। সোমবার রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। শংসাপত্রে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ডেঙ্গির কথাই বলা হয়েছে।
অমর ভদ্রেশ্বরের পালপাড়া লেনের বাসিন্দা। পুরসভা ও পারিবারিক সূত্রের খবর, গত ৮ নভেম্বর অমরবাবু স্ত্রী সন্ধ্যা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ছোট ছেলে অঞ্জনকে নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনার গাড়ুয়ালিয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন। সে দিনই জ্বরে পড়েন তিন জন। তারপর থেকে হুগলির ভদ্রেশ্বর, চুঁচু়ড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অমরবাবু ও তাঁর স্ত্রী। ১২ নভেম্বর তাঁদের
স্থানান্তর করানো হয় বেলেঘাটা আইডিতে। পরের দিন সেখানে ভর্তি করানো হয় অঞ্জনকে। ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যাদেবী বাড়ি ফিরেছেন। ১৯ নভেম্বর মৃত্যু হয় অমরবাবুর। অঞ্জন এখনও সেখানেই চিকিৎসাধীন।
অমরের বড় ছেলে রাজুর দাবি, ‘‘বাবার উচ্চ রক্তচাপ ছিল। তা ছাড়া অন্য কোনও সমস্যা ছিল না। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হল তাঁর।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, ‘‘ডায়াবেটিস এবং চেস্ট ইনফেকশন থাকলে ‘সেপটিক শক’ হয়। ওঁর ক্ষেত্রেও সেটা হয়ে থাকতে পারে।’’