প্রতীকী ছবি।
জখম এক মহিলাকে উদ্ধার করে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছিল পুলিশ। মঙ্গলবার সকালের ওই ঘটনা ঘিরে শুক্রবার অভিযোগ এবং পাল্টা অভিযোগ দায়ের হল বারাসত থানায়।
দু’টি অভিযোগই করেছেন আহত মহিলার দুই বোন। এক বোনের অভিযোগ, ওই মহিলাকে মারধর করে গণধর্ষণ করা হয়েছে। পাল্টা অভিযোগ এনে অন্য বোনের দাবি, দিদিকে মারধরের ঘটনার পিছনে ওই বোনেরই হাত রয়েছে। প্রসঙ্গত, ওই মহিলারা চার বোন। আহত মহিলার মানসিক সমস্যা রয়েছে বলে প্রতিবেশীদের একাংশের দাবি।
মঙ্গলবার সকালে ওই মহিলা বাড়ির সামনের বাগানে পড়ে ছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দু’টি অভিযোগ পরস্পরবিরোধী। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’’ বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। মারধরের চিহ্ন নেই।’’ মহিলা পড়ে গিয়ে ওই চোট পেয়ে থাকতে পারেন বলে তাঁর প্রাথমিক অনুমান।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে প্রথমে এক বোন দাবি করেন, দিদিকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, তা চেপে দিতে শাসকদলের এক কাউন্সিলর হুমকি দিচ্ছেন। পরে জখম মহিলার আর এক বোনকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে ওই কাউন্সিলরের পাল্টা দাবি, ‘‘এ সব মিথ্যে। পুলিশি তদন্তেই সত্য প্রকাশ পাবে।’’ আর যে বোন থানায় পাল্টা অভিযোগ করেছেন, তাঁর দাবি, অবিবাহিত দিদির দেখভাল করেন তিনিই। ঘটনার দিন তিনি অন্যত্র ছিলেন। প্রথম অভিযোগকারী বোন তাঁকে ফোন করে নাকি জানান, দিদি মারা গিয়েছেন। ওই বোনই নির্যাতনের পিছনে দায়ী বলে পাল্টা অভিযোগ তাঁর। হাসপাতালে যাওয়ার পর জখম দিদি তাঁকে দেখে শুধুই কেঁদেই গিয়েছেন।