পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বঙ্গে এনপিআর-সিদ্ধান্ত

শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে রাজ্যপাল বলেছেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার মাধ্যমে নেওয়া উচিত ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৮
Share:

ফাইল চিত্র।

ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টার (এনপিআর) সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড এবং প্রশিক্ষণের কাজ আপাতত স্থগিত রাখতে বলে দিনকয়েক আগেই নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে রাজ্যপাল বলেছেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার মাধ্যমে নেওয়া উচিত ছিল। এর প্রেক্ষিতে শনিবার নবান্নের এক কর্তা বলেন, ‘‘নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ আন্দোলন হচ্ছে। এ রাজ্যেও কয়েক দিন আগে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। সে কথা মাথায় রেখেই এনপিআর-সহ কয়েকটি সমীক্ষার কাজ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। কোনও অবস্থাতেই তা বাতিল করা হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সরকার আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’’

Advertisement

নবান্ন সূত্রে বলা হচ্ছে, রাজ্যের কৃষি বাজারগুলির পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। বর্তমান পরিকাঠামো কী রয়েছে, বাজারগুলির কতটা ব্যবহৃত হচ্ছে, পরিকাঠামো বাড়ানোর প্রয়োজন রয়েছে কি না, সেই সব বোঝাই এই সমীক্ষার লক্ষ্য। কিন্তু সাম্প্রতিক পরিস্থিতির কারণে সেই সমীক্ষা স্থগিত রাখতে হয়েছিল।
এখন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় কৃষি দফতরকে সমীক্ষা শুরু করার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে প্রশাসনের শীর্ষ স্তর। এনপিআর-এর কাজ শুরু হবে কি না, তা ভবিষ্যতের পরিস্থিতির উপরে নির্ভর করছে।

নবান্নের যুক্তি, যে হেতু আদমসুমারির সঙ্গেই এনপিআর-এর কাজ হওয়ার কথা, সে হেতু দু’টি কারণে বিষয়টি থামানো জরুরি ছিল। এক, এক জন ব্যক্তিই আদমসুমারি এবং এনপিআর-এর তথ্য সংগ্রহ করতে কোনও বাড়িতে যাবেন। তাঁর তথ্য সংগ্রহের পদ্ধতি বা প্রশ্নমালা নিয়ে আপত্তি হতে পারে। তৈরি হতে পারে ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা। দুই, যিনি তথ্য সংগ্রহ করতে যাবেন, তাঁকেও সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

Advertisement

প্রশাসনের শীর্ষ মহল জানাচ্ছে, রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য আনুমানিক যে ৭৮ হাজার ব্লক লেভেল অফিসার (বিএলও) নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁরাও বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেদের কাজ সে ভাবে করতে পারছেন না। প্রশাসনের এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিএলও-দেরও কাজ শুরু করতে হবে। আশা করা যায়, সেই সময় নির্বাচন কমিশনও বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রচার চালাবে। কারণ, বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন