হাওয়া অফিস কী করে, দেখতে এল ছাত্রছাত্রীরা

প্রতি বছর ২৩ মার্চ বিশ্ব জুড়ে আবহাওয়া দিবস পালিত হয়। এ বছরের থিম ‘ওয়েদার রেডি, ক্লাইমেট স্মার্ট’। সেই থিমকে মাথায় রেখেই এ দিন আলিপুর হাওয়া অফিসের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছিল। স্কুলপড়ুয়া, কলেজপড়ুয়া, শিক্ষক থেকে শুরু করে অনেকেই এসেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৮ ০১:৫০
Share:

বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের অনুষ্ঠানে পড়ুয়াদের জমায়েত। শুক্রবার, আলিপুর হাওয়া অফিসে। —নিজস্ব চিত্র।

আবহাওয়া ক্রমেই খামখেয়ালি হয়ে উঠছে। সেই খামখেয়ালিপনাকেই শুক্রবার আমজনতার সামনে তুলে ধরল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। উপলক্ষ, বিশ্ব আবহাওয়া দিবসের অনুষ্ঠান।

Advertisement

প্রতি বছর ২৩ মার্চ বিশ্ব জুড়ে আবহাওয়া দিবস পালিত হয়। এ বছরের থিম ‘ওয়েদার রেডি, ক্লাইমেট স্মার্ট’। সেই থিমকে মাথায় রেখেই এ দিন আলিপুর হাওয়া অফিসের অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছিল। স্কুলপড়ুয়া, কলেজপড়ুয়া, শিক্ষক থেকে শুরু করে অনেকেই এসেছিলেন। সেখানে বৃষ্টি বা তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র, উপগ্রহ কিংবা রেডার-চিত্র তুলে ধরে ব্যাখ্যা করেন বিজ্ঞানীরা। বন্যা, খরা বা সুনামির মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে একটি তথ্যচিত্রও দেখানো হয়।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, বিরূপ আবহাওয়া নানা ধরনের ক্ষতি করে। তা থেকে বাঁচতে কিছু পদক্ষেপ জরুরি। আমজনতার মধ্যে সেই সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া জরুরি। আর এক আবহবিজ্ঞানী বলেন, মহানগরে জনসংখ্যা বাড়ছে। এ সময়ে বড় মাপের ঘূর্ণিঝড় হলে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হবে। ঘূর্ণিঝড় তো রোখা যাবে না। কিন্তু কী ভাবে বিপদ থেকে বাঁচা যায়, তা জানা জরুরি।

Advertisement

রাষ্ট্রপুঞ্জের অধীনস্থ ‘ইন্টার-গভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (আইপিসিসি) জানিয়েছে, আগামী দিনে ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ ও জলোচ্ছ্বাস বাড়বে। বিপদের আশঙ্কা রয়েছে কলকাতা-সহ এ দেশের একাধিক উপকূলীয় শহরে। এ দিন সঞ্জীববাবুও বলেন, ‘‘আবহাওয়া ও জলবায়ুতে একটা বদল দেখা যাচ্ছে। তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে আগামী প্রজন্মকে সচেতন করতে হবে।’’

এ দেশের কৃষি, বিমান পরিবহণ থেকে প্রতিরক্ষা, সব ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু অনেকেই মনে করেন, হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস মেলে না। হাওয়া অফিসের খবর, পূর্বাভাস কী ভাবে দেওয়া হয় এবং কোন কোন ক্ষেত্রে তা মেলে না, এ দিন জনতার সামনে তা তুলে ধরা হয়। আবহাওয়া দফতরের এক কর্তার মন্তব্য, ‘‘বৃষ্টি হবে কি না, তার উত্তরে হ্যাঁ বা না বলতে হয়।
কিন্তু তার পিছনে কত কিছু যে দায়ী থাকে, তা অনেকেই জানেন না। সেগুলি বুঝলে পূর্বাভাস না মেলা নিয়ে কটূক্তি বন্ধ হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন