নিশানা: জয়পুর ব্লকের গুঞ্জা-সবনপুর ফুটবল ময়দানে শান্তিরাম মাহাতো। ছবি: রথীন্দ্রনাথ মাহাতো
পুরুলিয়া ২ ব্লকের নবকুঞ্জ ময়দানের ভাঙড়ায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলে অভিযোগে সরব হন। সেখান থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে জয়পুর ব্লকের গুঞ্জা-সবনপুর ফুটবল ময়দানে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ভারতীয় সংবিধানে আঘাত হানার অভিযোগে সরব হলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মঙ্গলবার বিকেলে দুই যুযুধান দলের সভা ঘিরে সরগরম হয়ে থাকল পুরুলিয়া জেলা।
জয়পুরের ওই সভাস্থলেই এ দিন দলীয় পর্যবেক্ষক তথা যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। শেষ মুহূর্তে অভিষেকের সফর স্থগিত করা হয়। তবে, সভা বাতিল করেনি তৃণমূল। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুশান্ত মাহাতো বলেন, ‘‘দলীয় পর্যবেক্ষক বিশেষ কারণে সভায় না থাকলেও তাঁর নির্দেশেই আমরা প্রতিবাদসভা করছি।’’
এ দিন সভার শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো অভিযোগ করেন, ‘‘কেন্দ্র রাজ্যের সমস্ত অধিকার ছিনিয়ে নিতে চাইছে। আমরা কোনও মতেই তা হতে দেব না। তৃণমূলনেত্রী এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন।’’
দলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ‘‘বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক ভাবে এ রাজ্যে কিছু করতে পারছে না। তাই রাজ্যের বিরুদ্ধে সিবিআই-কে লেলিয়ে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের ঘরে ঘরে ডাকঘরের মাধ্যমে আয়ুষ্মান প্রকল্পের চিঠি পাঠিয়ে দিয়ে মানুষজনকে বিভ্রান্ত করছে। রাজ্যকে ভাগ করার নোংরা খেলায় নেমেছে তারা।’’
রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলির কথা উল্লেখ করে শান্তিরামবাবু দাবি করেন, ‘‘সমাজের সর্বস্তরের মানুষের কথা ভাবেন আমাদের রাজ্য সরকার। আর আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী শুধু মিথ্যাচারের খেলায় নেমেছেন। রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টি করতে চাইছে বিজেপি। মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করতে চাইছে। আমরা রাজনৈতিক ভাবে এর জবাব দেব।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী দাবি করেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছে। কিন্তু, তৃণমূল নেত্রী সিবিআইকে তদন্তে বাধা দিচ্ছেন। বিজেপি এখানে আসছে কোথা থেকে? তৃণমূলের অপপ্রচার মানুষ ধরে ফেলেছেন।’’