—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
চিকিৎসার জন্য ১৯ বছরের মেয়েকে নেশামুক্তি কেন্দ্রে রেখে গিয়েছিল পরিবার। সুস্থ হয়ে মেয়ে বাড়ি ফিরবে, সেই ছিল আশা। কিন্তু নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে সেই মেয়ের মৃত্যুসং বাদ গেল বাড়িতে!
ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির উত্তরপাড়ায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতার নাম সালোনি রানা। আদতে কলকাতার ট্যাংরার বাসিন্দা তিনি। পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কিছু দিন আগে উত্তরপাড়ার ২১ নম্বর ওয়ার্ড মাখলা এলাকায় সাহেববাগানে একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রে তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছিল। শুক্রবার সেখান থেকে মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে নেশামুক্তি কেন্দ্রে ছুটে যান পরিবারের সদস্যেরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। যদিও ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রের কেউ কোনও মন্তব্য করেননি এই বিষয়ে।
পরিবার জানিয়েছে, শুক্রবার নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে তাদের ফোন করে বলা হয় সালোনি মারা গিয়েছেন। কী ভাবে মৃত্যু হল মেয়ের? তখন নেশামুক্তি কেন্দ্রের তরফে বলা হয়, খেতে গিয়ে গলায় খাবার আটকে মারা গিয়েছেন ১৯ বছরের তরুণী। মৃতার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, এক জন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসককে ডেকে পুলিশকে না জানিয়েই মৃত্যুর শংসাপত্র ‘জোগাড়’ করেন ওই নেশামুক্তি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসে পুলিশ-প্রশাসন। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে তরুনীর দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হচ্ছে। এই ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘যে কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যু হলে নিয়ম মতো ময়নাতদন্ত করতে হয়। এখানেও সেটা করা হবে। আর পুরসভা কোনও নেশামুক্তি কেন্দ্রকে অনুমতি দেয় না। আগামিদিনে অভিযোগ এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে হুগলিরই ডানকুনিতে একটি নেশাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন এক জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে।