প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের অনড় মনোভাব বহু আগেই স্পষ্ট হয়েছে। এ বার কেন্দ্রের তরফেও অশান্তি ছেড়ে আলোচনায় বসার বার্তা দেওয়ায় চটজলদি আসরে নেমেছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। দলের শীর্ষ নেতারা সামনে ঠেলে দিয়েছেন যুব সংগঠনকে। শুক্রবার যুব মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা অম্রুত ইয়নজন পাহাড়ের পরিস্থিতি নিয়ে দ্রুত আলোচনার ডাক দেওয়ার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে চিঠি দিয়েছেন।
ম্যালে অনশন মঞ্চের সামনে বসে ইয়নজয়ন বলেছেন, ‘‘অনশন ১৩ দিনে পড়েছে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে অনশনকারীদের। তাই দ্রুত আলোচনার জন্য ডাক দেওয়ার আর্জি জানিয়েছি।’’ তবে রাজ্যের সঙ্গে তাঁরা আলোচনায় বসার পক্ষপাতি নন বলে দাবি করেছেন তিনি। এ-ও জানান, তাঁরা শুধু আলাদা রাজ্যের দাবি নিয়েই কথা চান।
মোর্চার উত্থানের সময়ে, ২০০৮ সাল থেকে যে আন্দোলন শুরু হয়, তখনও গোড়ায় রাজ্যের সঙ্গে কোনও কথা হবে না বলে দাবি করা হয়েছিল। ২০১১ সালে তৃণমূল সরকারের উদ্যোগেই কেন্দ্রকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। যার শেষে জিটিএ চুক্তি হয়েছিল। বর্তমান পরিস্থিতিতে পাহাড়-সমস্যা মেটানোর ক্ষেত্রে রাজ্যের ভূমিকাই প্রধান বলে কেন্দ্রের শাসক দলের তরফেও মোর্চার কাছে নানা ভাবে বার্তা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: স্টান্ট দেখাতে গিয়ে মৃত্যু দুই মদ্যপ বন্ধুর
বৃহস্পতিবারই অহলুওয়ালিয়া অশান্তি ছেড়ে আলোচনা চেয়েছেন। রাজ্যকেও পাহাড়ের সমস্যা, আন্দোলনকারীদের প্রতি আরও সহানুভূতিশীল হতে অনুরোধ করেছেন। উপরন্তু, এ দিন শিলিগুড়িতে বিজেপির যুব সংগঠনের রাজ্যের পর্যবেক্ষক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক ডেকে জানিয়ে দিয়েছেন, আগে যা হওয়ার হয়েছে। এ বার থেকে পাহাড়ে মোর্চার আন্দোলনে বিজেপি-র পতাকা দেখা যাবে না। তিনি বলেন, ‘‘কারণ, আমরা বাংলা ভাগের বিরুদ্ধে।’’ উল্টো দিকে, তৃণমূলের দাবি, এখন এ সব বলে লাভ নেই। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘কারা রাজ্যকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে চায়, কারা বিচ্ছিন্নতাবাদে সুড়সুড়ি দিচ্ছে তা সকলেই জেনে গিয়েছে।’’
এই অবস্থায়, মোর্চা কিংবা হালে গঠিত সমন্বয় কমিটির তরফে কবে আলোচনায় বসার জন্য চিঠি দেওয়া হয়, সেটাই দেখার। কিন্তু, পাহাড়-সমতলবাসীদের অনেকেরই আশা, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে স্বাধীনতা দিবসের আগেই সব পক্ষ সক্রিয় হবে।