অ্যাডমিট কার্ডে নাম নয় কলেজের, শর্ত বিএডে

পরীক্ষায় বসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দাবি জানিয়েও, এখন পরীক্ষা দেবেন কিনা তা নিয়ে ধন্দে ভক্তবালা বিএড কলেজের ৩৯ প্রতারিত পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে লিগ্যাল অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করলেন ওই পরীক্ষার্থীদের কয়েকজন। দীর্ঘ আলোচনার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্ত মেনে পরীক্ষায় বসতে অনিচ্ছা দেখিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০১৪ ০৩:৪৩
Share:

পরীক্ষায় বসার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দাবি জানিয়েও, এখন পরীক্ষা দেবেন কিনা তা নিয়ে ধন্দে ভক্তবালা বিএড কলেজের ৩৯ প্রতারিত পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে লিগ্যাল অফিসারের সঙ্গে আলোচনা করলেন ওই পরীক্ষার্থীদের কয়েকজন। দীর্ঘ আলোচনার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শর্ত মেনে পরীক্ষায় বসতে অনিচ্ছা দেখিয়েছেন তাঁরা।

Advertisement

এ দিন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন ভক্তবালা বি এড কলেজের অতিরিক্ত ৩৯ জনের মধ্যে সাত পরীক্ষার্থী। তাঁরা এ দিন পরীক্ষা নিয়ামকের সঙ্গেও দেখা করতে চান। কিন্তু স্নাতকোত্তর পরীক্ষা চলার জন্য তিনি ব্যস্ত থাকায় তাঁরা লিগ্যাল অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁর কাছে পরীক্ষায় বসার সুযোগ চেয়ে আর্জি জানান। ছাত্র-ছাত্রীদের লিগ্যাল অফিসার অলোক ঘোষ বলেন, ‘‘ভক্তবালা কলেজের ৩৯ জন ছাত্র-ছাত্রী যাতে পরীক্ষায় বসতে পারেন, সেই বিষয়ে আমরা সচেষ্ট। তবে সব কিছুই এনসিটিই-র নিয়ম মেনে করতে হবে।’’ তিনি জানান, আগামী ৫ জুলাই অ্যাডমিট কার্ড সংগ্রহ করে ৭ জুলাই থেকেই পরীক্ষায় বসতে পারবেন তাঁরা। এই ৩৯ জনের পরীক্ষার সেন্টার কোথায় হবে তা-ও ৫ জুলাই জানিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের শর্ত মানার বিষয়ে লিখিত সম্মতি দিতে হবে। তাঁদের অ্যাডমিট কার্ডে কলেজের নাম থাকবে না। মার্কশিট পেতে সময় লাগতে পারে। শর্ত শোনার পর পরীক্ষায় বসতে নারাজ অনেকে। কারও কারও আশঙ্কা, শেষ অবধি এনসিটিই ১০০ জনের বেশি পড়ুয়াকে পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেবে না। মার্কশিট পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে ধন্দ থাকাতেও পরীক্ষায় বসতে চান না অনেকে। এক ছাত্রীর বক্তব্য, “একই রকম অ্যাডমিট কার্ড, একই সঙ্গে মার্কশিট না পেলে কেন পরীক্ষা দেব?”

কলেজের চেয়ারম্যানকে এ দিনও ধরতে পারেননি ছাত্ররা। তিনি কার্যত নিখোঁজ। ফলে ছাত্ররা এখন তাকিয়ে কলেজে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের আসার দিকে। তদন্তে এসে তিনি কী বলেন, তা দেখেই শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, অভিযোগ উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মী, টিএমসিপি ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক তন্ময় আচার্য ও বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষ টাকা নিয়ে অতিরিক্ত ছাত্র ভর্তি করেছিলেন।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন