অঙ্গনওয়াড়ি-শিক্ষাকে ঢেলে সাজাবে রাজ্য

পরিকাঠামোর উন্নয়ন, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে জোরদার করা-সহ রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। রবিবার বোলপুর উচ্চবিদ্যালয়ে আইসিডিএস-এর একটি কনভেনশনের উদ্বোধন করতে এসে তিনি এ কথা জানান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২১:১৬
Share:

পরিকাঠামোর উন্নয়ন, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে জোরদার করা-সহ রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা। রবিবার বোলপুর উচ্চবিদ্যালয়ে আইসিডিএস-এর একটি কনভেনশনের উদ্বোধন করতে এসে তিনি এ কথা জানান। এ দিনের কনভেনশনে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকাদের ১২ দফা দাবি নিয়েও আলোচনা হয়।

Advertisement

মন্ত্রী জানান, রাজ্যে প্রায় ১ লক্ষ ১৬ হাজার অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। তার জন্য কমপক্ষে ২ লক্ষ ৩২ হাজার কর্মী ও সহায়িকা রয়েছেন। বেশ কিছু কেন্দ্রগুলিতে পরিকাঠামোগত বেশ কিছু সমস্যা থাকার কথা তিনি মেনে নিয়েছেন। আবার একাংশের কর্মী ও সহায়িকাদের ন্যায্য প্রাপ্য বাকি থাকার কথাও স্বীকার করেছেন। মন্ত্রীর দাবি, “ক্ষমতায় আসার পর রাজ্যের ১৯ জেলার এই কেন্দ্র নিয়ে চিন্তা ভাবনা করেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। নিয়োগের ক্ষেত্রে এবং সুষ্ঠু পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র ভাবে এলাকার নির্বাচিত জন প্রতিনিধিদের নিয়ে জেলায় জেলায় বিশেষ কমিটিও গঠন করার কথা ছিল। কিন্তু বিরোধীদের মামলা, মোকদ্দমার জন্য ওই প্রক্রিয়া আজও সম্পূর্ণ হয়ে ওঠেনি।” তিনি আরও জানান, রাজ্য সরকার এবং সংশ্লিষ্ট দফতর ওই কেন্দ্র এবং তাদের কর্মী ও সহায়িকাদের ব্যাপারে নানা চিন্তা ভাবনা করছে। তাতে একটু দেরি হচ্ছে। তবে অচিরেই ফল মেলার আশ্বাস তিনি দিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে ওই কর্মী ও সহায়িকাদেরও সমান দায়িত্ব নেওয়ার পরামর্শও তিনি দিয়েছেন। তিনি পরে বলেন, “আদর্শ কেন্দ্র গড়ে তোলা, ওই কেন্দ্রে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাদান, মা এবং শিশুর স্বাস্থ্যের দিকে নজরদারি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে ঢেলে সাজা হচ্ছে এই গোটা ব্যবস্থাটাই। প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা পদ্ধতি নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। বিশেষ পদ্ধতি এবং বেশ কিছু প্রণালির মধ্য দিয়ে ‘ক্রেশ’ ব্যবস্থাও আমরা চালু করতে চলেছি। কাজ কর্ম করতে বাইরে যাওয়া মায়েদের সন্তানেরা কয়েক ঘণ্টা এখানে থাকবে। সেক্ষেত্রেও ক্রেশ কর্মী, লিঙ্ক কর্মী নেওয়া হবে।”

এ দিনের আলোচনায় খোদ কর্মী ও সহায়িকাদের অপুষ্টির বিষয়, তাঁদের পদোন্নতি, বেতন, ভাতা, ছুটি-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। মন্ত্রীকে হাতের নাগালে পেয়ে মিনু মজুমদার, জ্যোৎস্না সরকার, আলেমা খাতুন, সায়রা বানুরা এ যাবত কেন্দ্র পরিচালনা করতে গিয়ে কী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তার কথা জানান। একই সঙ্গে সমস্যাগুলির অবিলম্বে সমাধানের দাবিতে মঞ্চেই মন্ত্রীকে নিজেদের ক্ষোভ জানান।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন