আদালত চত্বরেই সাক্ষীদের মারধর

আলিপুর কোর্টের মধ্যে বিচারককে হুমকি দিচ্ছেন, শাসাচ্ছেন আইনজীবীরা। কিছু দিন আগেকার এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন অনেকেই। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুধু হুমকি-শাসানি নয়। এজলাসে বিচার চলাকালীন আদালত-চত্বরে সাক্ষীদের মারধরের অভিযোগ উঠল এক অভিযুক্ত এবং তার দলবলের বিরুদ্ধে। টানাহেঁচড়া করা হল পুলিশকেও।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০৩:৩৭
Share:

আলিপুর কোর্টের মধ্যে বিচারককে হুমকি দিচ্ছেন, শাসাচ্ছেন আইনজীবীরা। কিছু দিন আগেকার এই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন অনেকেই। বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুধু হুমকি-শাসানি নয়। এজলাসে বিচার চলাকালীন আদালত-চত্বরে সাক্ষীদের মারধরের অভিযোগ উঠল এক অভিযুক্ত এবং তার দলবলের বিরুদ্ধে। টানাহেঁচড়া করা হল পুলিশকেও।

Advertisement

পরে অভিযুক্তদের থানায় নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম রাকেশ সিংহ, প্রেমকুমার অগ্রবাল, আকিন গুলজার, সন্তোষকুমার ঠাকুর, মঞ্জু চৌধুরী, বখরি আমিন, বাবলু আলি এবং উপেন্দ্রকিশোর সিংহ।

ঠিক কী ঘটেছিল এ দিন? পুলিশ জানায়, ২০১৪ সালের ১ জানুয়ারি রেসকোর্সে দৌড় চলার সময়েই এক দল লোক শ্রমিক সংগঠনের পতাকা নিয়ে ঢুকে পড়েছিলেন। ৪৫ মিনিটের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ঘোড়দৌড়। পুলিশ মাঠে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়। গ্রেফতার করা হয় ৯৭ জনকে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এই ঘটনার পিছনে রয়েছেন রাকেশ সিংহ নামে এক কংগ্রেসের শ্রমিক-নেতা। তিনি চিড়িয়াখানারও শ্রমিক-নেতা। ৬ জানুয়ারি তাঁকে হেস্টিংস থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সকলেই জামিন পান।

Advertisement

বৃহস্পতিবার নগর দায়রা আদালতে (বিচার ভবন) সেই মামলার শুনানি ছিল। পুলিশের সঙ্গে আদালত-চত্বরে দাঁড়িয়ে ছিলেন সাক্ষীরা। অভিযোগ, হঠাৎই রাকেশ এবং তাঁর দলবল সাক্ষীদের ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। অরবিন্দ সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে মেরে চোখ ফাটিয়ে দেওয়া হয়। তাঁর চোখে চারটি সেলাই পড়েছে বলে জানায় পুলিশ। মুখেও আঘাত পান তিনি। মার খান আরও তিন সাক্ষী। পুলিশের হাত থেকে কেস ডায়েরি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়। ছুটে আসেন আশপাশের লোকজন, পুলিশ ও আইনজীবীরা। পুলিশই রাকেশ এবং তাঁর দলবলকে ধরে হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন