আজ, সোমবার উত্তরকন্যায় ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোগীদের নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরকন্যায় সেই অনুষ্ঠান ‘নর্থ বেঙ্গল কলিং’-এর প্রস্তুতি চলছে। রবিবার বিশ্বরূপ বসাকের তোলা ছবি।
উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর থাকার জায়গায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে।
নতুন নির্মিত ওই বাংলোর চারধারে দেওয়াল না থাকার জন্য ‘ভিউ কাটার’ হিসাবে অন্তত ১৫ ফুট উঁচু করে কাপড় দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। যাতে ভিতরের কোনও কিছু বাইরে থেকে নজরে না আসে। তা ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সমস্ত রকম নিরাপত্তা ব্যবস্থাই রাখা হচ্ছে। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার অংমু গ্যানসো পাল বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর জন্য সমস্ত নিরাপত্তাই থাকছে। নতুন বাংলোয় দেওয়াল না থাকায় ভিউ কাটার দিয়ে বাংলোটিকে ঘিরে ফেলা হয়েছে।” রাতে মুখ্যমন্ত্রী সেখানে থাকবেন বলে আশেপাশে এলাকাও নিরাপত্তার ঘেরাটোপের মধ্যে রয়েছে। বাংলোর পিছনের অংশে উঁচু করে ধারার বেড়া লাগানো হয়েছে। সামনে ও বাংলোর দুই পাশে কাপড় দিয়ে ঘেরা হয়েছে।
নতুন অতিথি নিবাস চারিদিক থেকে ঢেকে ফেলা হয়েছে। নিজস্ব চিত্র।
মুখ্যমন্ত্রীর আসা এবং উদ্বোধনের জন্য সাজিয়ে তোলা হয়েছে বাংলোর ঘরগুলি। টিভি, থেকে ফ্রিজ সবই আনা হয়েছে। ডাইনিং হলে চেয়ার টেবল পাতা হয়েছে। সাজিয়ে তোলা হয়েছে বাংলোর লাউঞ্জ। অত্যাধুনিক কিচেনেও জিনিসপত্র এনে রাখা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব এবং দফতরের আধিকারিকরা সমস্ত আয়োজনের খঁুটিনাটি দেখে নিয়েছেন। সোমবার শিল্পদ্যোগীদের নিয়ে ‘নর্থবেঙ্গল কলিং’ অনুষ্ঠানের পর উত্তরকন্যার ওই বাংলোতেই থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
অন্তত ৯ কোটি টাকা খরচ করে উত্তরকন্যায় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ওই বাংলোটিকে গড়ে তোলা হয়েছে। বাহারি গাছ, ঝর্না দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। পাঁচটি বিলাসবহুল ঘর তথা স্যুট তৈরি করা হয়েছে। তার একটি কেবল মুখ্যমন্ত্রীর ব্যবহারের জন্যই। প্রতিটি স্যুটে একটি শোবার ঘর, একটি বসার ঘর থাকছে। স্যুটে ঢোকার আগে ছোট একটি ঘরও রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর স্যুট ছাড়া বাকিগুলিতে ভিভিআইপি’রাই কেবল থাকতে পারবেন। স্যুট লাগোয়া রয়েছে বারান্দা। স্যুটে দামি সেগুন কাঠের সিলিং, দেওয়ালগুলিও কাঠ দিয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে। স্নানঘরে ‘জাকুজি’ ব্যবস্থা থাকছে। বাংলোর সামনে থাকছে ফোয়ারা। তাতে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড ব্যবস্থা থাকছে। বাংলোর সামনের অংশে তৈরি হয়েছে ‘লিলি পুল’। সুইমিং পুলের ধাঁচেই এই ‘পুল’ তৈরি হয়েছে।