ক্ষমা চাওয়া কল্যাণের মুখে আবার সেই কুকথা

দিন কয়েক আগেই সংসদে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। তা যে নিছকই ‘নিয়মরক্ষা’র, শনিবার তা প্রমাণ করে ছাড়লেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনা হল, শনিবারও হুগলির মশাট বাজারে কল্যাণের লক্ষ্য সেই সিদ্ধার্থনাথ সিংহই। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে এ বার কল্যাণের তোপ, ‘কুলাঙ্গার’। এ নিয়ে যদিও অনুতাপ নেই শ্রীরামপুরের সাংসদের। তাঁর দাবি, কলকাতায় প্রকাশ্য সমাবেশে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ভাগ মমতা ভাগ’ বলাতেই তাঁর এই ক্ষোভ প্রকাশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মশাট শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:৩০
Share:

দিন কয়েক আগেই সংসদে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

তা যে নিছকই ‘নিয়মরক্ষা’র, শনিবার তা প্রমাণ করে ছাড়লেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

ঘটনা হল, শনিবারও হুগলির মশাট বাজারে কল্যাণের লক্ষ্য সেই সিদ্ধার্থনাথ সিংহই। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের বিরুদ্ধে এ বার কল্যাণের তোপ, ‘কুলাঙ্গার’। এ নিয়ে যদিও অনুতাপ নেই শ্রীরামপুরের সাংসদের। তাঁর দাবি, কলকাতায় প্রকাশ্য সমাবেশে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ভাগ মমতা ভাগ’ বলাতেই তাঁর এই ক্ষোভ প্রকাশ।

Advertisement

এ মাসের গোড়ায় চণ্ডীতলায় সিদ্ধার্থবাবু সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল। তা নিয়ে কল্যাণের অবশ্য কোনও অনুতাপ দেখা যায়নি। উল্টে সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, “ক্ষমা চাইব কেন, তার প্রশ্নই নেই।” তবে পরে খোদ দলনেত্রীর নির্দেশে তিনি সংসদে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাইতে বাধ্য হলেও তা যে নিছকই নিয়ম মেনে, এ দিন তা বুঝিয়ে দিলেন ওই তৃণমূল সাংসদ।

এ দিন মশাটের ভরা বাজারে দলীয় সমর্থকের সামনে কল্যাণ বলেন,“হেলিকপ্টারে চড়ে এসে এ রাজ্যে রাজত্ব করা যাবে না। বাংলায় থাকতে হলে স্যুট, বুট, টুপি পরলেই হবে না। বাংলার মানুষের পাশে লড়াইয়ে থাকতে হবে।” তিনি জানান, লালাবাহাদুর শাস্ত্রীকে দেশের ১২৫ কোটি মানুষ শ্রদ্ধা করেন। আর তাঁর নাতি বাংলায় এসে ‘ভাগ মমতা ভাগ’ বলাতেই যত আপত্তি কল্যাণের। সেই প্রসঙ্গ টেনেই এ দিন তাই সিদ্ধার্থকে ‘কুলাঙ্গার’ বলে বসেন কল্যাণ। তাঁর কথা শুনে উপস্থিত শ্রোতারা এ-ওর মুখ চাওয়া চাওয়ি করতে থাকেন। সাংসদ অবশ্য অবলীলায় বলতে থাকেন, “প্রত্যেক বংশেই অনেক সময় এক এক জন কুলাঙ্গার জন্মায়। সিদ্ধার্থ সে রকমই এক জন।”

কল্যাণের মন্তব্য শুনে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি রাহুল সিংহের মন্তব্য, “আসলে তৃণমূলে সংস্কৃতি বলে কিছু নেই। মুখ্যমন্ত্রী পর্যন্ত আপত্তিকর গালমন্দ করেন।” বিস্মিত রাহুল বলছেন, “এই সে দিন দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে ফের এমন মন্তব্য! আবার এক আচরণ? আসলে ওঁর মানসম্মান বলে কিছু নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন