কুয়াশার জেরে পথ দুর্ঘটনা, মৃত তিন

ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল দক্ষিণবঙ্গের আকাশ। কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম থাকায় শনিবার দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৩ জনের। দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সুতির মহেশাইল ও বর্ধমানের তেজগঞ্জের কাছে। আহত হয়েছেন মোট ২০ জন। শনিবার ভোরে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের সুতির মহেশাইলের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে কলকাতা থেকে একটি বেসরকারি বাস ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দ্রুতগতিতে শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথগঞ্জ ও বর্ধমান শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৪৭
Share:

দুর্ঘটনার পরে। নিজস্ব চিত্র

ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল দক্ষিণবঙ্গের আকাশ। কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কম থাকায় শনিবার দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৩ জনের। দুর্ঘটনাগুলি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সুতির মহেশাইল ও বর্ধমানের তেজগঞ্জের কাছে। আহত হয়েছেন মোট ২০ জন।

Advertisement

শনিবার ভোরে প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে মুর্শিদাবাদের সুতির মহেশাইলের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন ভোরে কলকাতা থেকে একটি বেসরকারি বাস ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দ্রুতগতিতে শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। পথে মহেশাইলের কাছে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি লরির পিছনে ধাক্কা মারে ওই বাসটি। ঘটনাস্থলেই মারা যান প্রমোদকুমার তিওয়ারি (৩১) ও সিরাজুল শেখ (২৭) নামে দুই যাত্রী। বিএসএফ জওয়ান প্রমোদের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলায়। সিরাজুল বেলডাঙার পুকুরকোনার বাসিন্দা। আহত হন ৮ জন। পুলিশ জানিয়েছে, কুয়াশার কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ দিনের অন্য দুর্ঘটনাটি ঘটে বর্ধমানের তেজগঞ্জে জিটি রোড বাইপাসে। পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ কলকাতার করুণাময়ী থেকে দুর্গাপুরগামী দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার একটি বাসের সঙ্গে একটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মারা যান বাসের চালক সুদন বাউড়ি (৪৮)। বাড়ি বাঁকুড়ার ইঁদপুরে। আহত হন ১১ জন যাত্রী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, যে জায়গায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানে রাস্তা মেরামতির কারণে একটি লেন বন্ধ রয়েছে। অন্য লেন দিয়েই গাড়ি যাতায়াত করছে। দুর্ঘটনার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজে নেমে পড়েন। বাস চালককে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন। হাসপাতালে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “কুয়াশা ও দ্রুতগতির কারণেই সামনের লরি দেখতে না পাওয়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন