কন্যাশ্রী দিবসে চার জেলায় চার নাবালিকার বিয়ে রুখল প্রশাসন

বাল্যবিবাহ রোধ এবং মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করার জন্য বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে যখন ‘কন্যাশ্রী দিবস’ পালিত হচ্ছে, তখনই রাজ্যের চার জেলায় চার নাবালিকার বিয়ের তোড়জোড় চলছিল জোরকদমে। পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে বন্ধ হল সব ক’টি বিয়েই। মালদহের কমলাবাড়ি হাইস্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল আজ, শুক্রবার। সেই কারণে বাড়ি থেকে স্কুলে যেতেও তাকে বারণ করা হয়েছিল। ছাত্রীটি সে কথা শোনেনি। বৃহস্পতিবার জোর করে সে স্কুলে গিয়ে এক শিক্ষককে বলে, “স্যার, কাল আমার বিয়ে। কিন্তু আমি বিয়ে করতে চাই না, পড়তে চাই।”

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৪ ০৩:৫২
Share:

বাল্যবিবাহ রোধ এবং মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করার জন্য বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে যখন ‘কন্যাশ্রী দিবস’ পালিত হচ্ছে, তখনই রাজ্যের চার জেলায় চার নাবালিকার বিয়ের তোড়জোড় চলছিল জোরকদমে। পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে বন্ধ হল সব ক’টি বিয়েই।

Advertisement

মালদহের কমলাবাড়ি হাইস্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল আজ, শুক্রবার। সেই কারণে বাড়ি থেকে স্কুলে যেতেও তাকে বারণ করা হয়েছিল। ছাত্রীটি সে কথা শোনেনি। বৃহস্পতিবার জোর করে সে স্কুলে গিয়ে এক শিক্ষককে বলে, “স্যার, কাল আমার বিয়ে। কিন্তু আমি বিয়ে করতে চাই না, পড়তে চাই।”

তরুণকুমার পণ্ডিত নামে ওই শিক্ষক ছাত্রীকে সঙ্গে করে নিয়ে যান স্থানীয় ইংরেজবাজারের বিডিও পার্থ দে-র কাছে। পার্থবাবু সব শুনে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে ছাত্রীর বাবাকে ডেকে পাঠিয়ে মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছে যে, মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তিনি তার বিয়ে দেবেন না।

Advertisement

পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের ছোট নাগদনা গ্রামের এক নাবালিকার সঙ্গে লালগড় থানার বেলবনি গ্রামের এক যুবকের বিয়ে ঠিক হয়েছিল এ দিন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গোয়ালতোড়ের বিডিও লোকনাথ সরকার পুলিশ নিয়ে গিয়ে ওই নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করার আর্জি জানান। পরে তার বাবা থানায় গিয়ে আঠারো বছর বয়সের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না বলে মুচলেকা দেন।

এ দিন ওই জেলারই মোহনপুর ব্লকের শিয়ালসাই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক নাবালিকার সঙ্গেও সাউটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সামসামার গ্রামের এক তরুণের বিয়ে ঠিক হয়। খবর পেয়ে বিডিও সুলোক প্রামাণিক পুলিশ নিয়ে ওই কিশোরীর বাড়িতে যান। সেখানে তারা ওই নাবালিকা বাবা-মা ও ছেলের বাড়ির লোকেদের সঙ্গে কথা বলে বিয়ে বন্ধ করেন। একই ভাবে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদাতেও এক নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করেন ওসি গোপাল বিশ্বাস।

হুগলির মগরার কৃষ্ণদাস পল্লির এক চা-বিক্রেতার স্কুল পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে মাসখানেক আগে ঘনিষ্ঠতা হয় এক যুবকের। বৃহস্পতিবার ছিল বিয়ে। সকাল থেকে শুরু হয়ে যায় আচার-অনুষ্ঠান। শেষ পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় বন্ধ হয় বিয়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন