ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানকে জাতীয় প্রকল্পের মর্যাদা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন জানাল রাজ্য সরকার।
ইউপিএ সরকারের আমলে ওই প্রকল্পটিতে আর্থিক সাহায্য করার বিষয়ে নীতিগত সম্মতি দিয়েছিল কেন্দ্র। সে সময়ে ১৫৭৭ কোটি টাকার ওই প্রকল্পের অর্ধেক খরচ রাজ্যকে বহন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু প্রথম থেকেই ওই প্রকল্পটিতে কেন্দ্রের অংশ বাড়ানোর জন্য দাবি করে আসছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সেই কারণে কৌশলগত ভাবে ওই প্রকল্পটিকে জাতীয় প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নেয় রাজ্য। আজ রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জাতীয় প্রকল্প ঘোষণা করা হলে ৯০ শতাংশ অর্থই কেন্দ্র দেবে। তাতে রাজ্যের পক্ষে দ্রুত ওই প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।”
আজ দিল্লিতে সমস্ত রাজ্যের সেচ ও জলপথ মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী উমা ভারতী। এ দিনের বৈঠকে ঘাটাল ছাড়াও রাজ্যের একাধিক সমস্যা তুলে ধরেন তিনি। ঘাটাল ছাড়াও দামোদরের নিম্ন অববাহিকার সংস্কারকেও জাতীয় প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন উমা ভারতী। বিষয়টি চূড়ান্ত করতে আগামী ২৮ নভেম্বর রাজ্যের সেচ দফতরের সচিবকে দিল্লিতে এসে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছেন উমা। রাজ্যের আশা ওই বৈঠকেই স্থায়ী সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়া যাবে। আজ কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র বোর্ড নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে ওই বোর্ডে রাজ্যকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য দাবি জানিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গ। আজ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, রাজ্যের ওই দাবি যথার্থ। নতুন বোর্ডে রাজ্য জায়গা পেলে ব্রহ্মপুত্রের শাখানদীগুলির সংস্কারে রাজ্য প্রচুর অর্থ পাবে বলে জানিয়েছে সেচ দফতর।