তোপ সিপিএমকেই, তবে এখনই জোট চান না লক্ষ্মণ

সিপিএম নেতা হিসেবে নন্দীগ্রাম নিখোঁজ কাণ্ডের মামলায় অভিযুক্ত হয়ে প্রথমে আত্মগোপন করে, পরে আদালতের নির্দেশে শর্ত সাপেক্ষে নিজের জেলা, পূর্ব মেদিনীপুরের বাইরে ছিলেন প্রায় তিন বছর! জেলায় ফিরে সেই নন্দীগ্রাম কাণ্ডের জন্য সিপিএমের রাজ্য নেতাদের দায়ী করে তাঁদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তমলুক শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০২:৫৭
Share:

দলের পতাকা হাতে লক্ষ্মণ শেঠ। ছবি:পার্থপ্রতিম দাস।

সিপিএম নেতা হিসেবে নন্দীগ্রাম নিখোঁজ কাণ্ডের মামলায় অভিযুক্ত হয়ে প্রথমে আত্মগোপন করে, পরে আদালতের নির্দেশে শর্ত সাপেক্ষে নিজের জেলা, পূর্ব মেদিনীপুরের বাইরে ছিলেন প্রায় তিন বছর! জেলায় ফিরে সেই নন্দীগ্রাম কাণ্ডের জন্য সিপিএমের রাজ্য নেতাদের দায়ী করে তাঁদের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বহিষ্কৃত সিপিএম নেতা লক্ষ্মণ শেঠ।

Advertisement

ন্যাশনাল কনফেডারেসি অফ ইন্ডিয়া-র রাজ্য সভাপতি হয়েছেন লক্ষ্মণবাবু। সোমবার তমলুক শহরে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি ছিল তাঁর। সেখানে সংবর্ধনা সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে বলেন, “অনেকেই হয়ত ভাবেন নন্দীগ্রাম কাণ্ডের জন্য আমিই দায়ী। কিন্তু নন্দীগ্রাম কাণ্ডের জন্য যদি কেউ দায়ী হয়ে থাকেন, তবে তাঁরা হলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রেরা। এতে আমাদের কোনও ভূমিকা ছিল না।”

২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে পুলিশের গুলিতে ১৪ জন গ্রামবাসীর মৃত্যুর ঘটনা প্রসঙ্গে লক্ষ্মণবাবু বলেন, “গুলি চালনার জন্য যদি কাউকে জবাবদিহি করতে হয়, তা হলে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশ মন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে করতে হত। দুর্ভাগ্যের বিষয় ষড়যন্ত্র করে দায় আমাদের ঘাড়ে চাপানো হয়েছিল।” ঘরেবাইরে তিনি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন, মন্তব্য লক্ষ্মণবাবুর।

Advertisement

এ দিন বিকেলে সড়ক পথে জেলায় ঢোকার পথে কোলাঘাটে, পরে তমলুক শহরে সংগঠনের তরফে পুষ্পস্তবক দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। হাজার দেড়েক মানুষের জমায়েতে নিজের নতুন রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরার সঙ্গেই সিপিএম নেতৃত্বের কড়া সমালোচনা করেন প্রাক্তন সাংসদ। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের ৭০০টি মামলায় ১৩ হাজার মানুষ অভিযুক্ত হয়েছিলেন। বামফ্রন্টের হাজার হাজার কর্মী মামলায় জর্জরিত। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে নীরব রইলেন।”

সভায় লক্ষ্মণবাবু হলদিয়া বন্দর-সহ শিল্পাঞ্চলের উন্নয়নে সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলেন জানান। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আপাতত কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট বাধা হবে না। একক ভাবে রাজনৈতিক প্রচার, আন্দোলন চলবে।” তবে ভবিষ্যতে জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তিনি। তাঁর কথায়, “ভবিষ্যতে সে রকম পরিস্থিতি হলে সিপিএম, তৃণমূল-সহ যে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট হতেই পারে।” সভায় লক্ষ্মণবাবু ছাড়াও ভাষণ দেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ চক্রবর্তী। উপস্থিত ছিলেন তমালিকা পণ্ডা শেঠ, অমিয় সাহু, অশোক গুড়িয়ারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন