তুষারধস নয়, পিছলে পড়ে গেল ছন্দা, তাড়াতাড়ি নীচে নেমে দেখি সব সাদা

আমি উপর থেকে চিৎকার করে বলছিলাম, আর মোটে কয়েকটা পা। দড়িটা পেয়ে যাবে এখুনি। বলতে বলতেই পা হড়কে পড়ল ছন্দা, আর... না, কোনও তুষারধস নয়। ছন্দাকে আটকাতে গিয়েই পড়ে যান তেমবা শেরপা। দু’জনে একসঙ্গে পড়ার ফলে অনেকটা নরম বরফ পাহাড় থেকে ধসে যায়। একই দড়িতে ছিলেন দাওয়া শেরপা। ছন্দা আর তেমবার দেহের ওজন আর অনেকটা বরফের তাল তাঁকেও খাড়াই থেকে ফেলে দেয়। বরফের তালের সঙ্গেই নীচে গড়িয়ে যান তিন জন।

Advertisement

তিয়াষ মুখোপাধ্যায়

কাঠমান্ডু শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৪ ০৪:০০
Share:

সহযাত্রীর ক্যামেরায়। কাঞ্চনজঙ্ঘার মূল শৃঙ্গে অবসন্ন ছন্দা (হলুদ পোশাকে)। মঙ্গলবার শহরে ফিরে ছবি দেখালেন দীপঙ্কর ঘোষ।

আমি উপর থেকে চিৎকার করে বলছিলাম, আর মোটে কয়েকটা পা। দড়িটা পেয়ে যাবে এখুনি। বলতে বলতেই পা হড়কে পড়ল ছন্দা, আর...

Advertisement

না, কোনও তুষারধস নয়। ছন্দাকে আটকাতে গিয়েই পড়ে যান তেমবা শেরপা। দু’জনে একসঙ্গে পড়ার ফলে অনেকটা নরম বরফ পাহাড় থেকে ধসে যায়। একই দড়িতে ছিলেন দাওয়া শেরপা। ছন্দা আর তেমবার দেহের ওজন আর অনেকটা বরফের তাল তাঁকেও খাড়াই থেকে ফেলে দেয়। বরফের তালের সঙ্গেই নীচে গড়িয়ে যান তিন জন।

তার পর শুধু সাদা...

Advertisement

হোটেলে বসে সেই অভিশপ্ত দিনটির কথা বলে চলেছেন তাশি শেরপা। কাঞ্চনজঙ্ঘা মূল শৃঙ্গ জয় করে ফের পশ্চিম শৃঙ্গের দিকে পা বাড়ানো চার জনের দলটির একমাত্র ফিরে আসা সদস্য। দলের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ হওয়ার দরুণ তাশিই ছিলেন অভিযানের নেতা। তিনিই এখন ছন্দার দুর্ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী।

মধ্য তিরিশের ছোটখাটো চেহারা, শান্ত চোখ। বিষাদ আর চাপা আতঙ্কের মধ্যেও মুখের হাসিটুকু একেবারে মিলিয়ে যায়নি।

ছন্দারা পড়ে যাওয়ার পর তাশিই ২১ মে দুপুরে বেসক্যাম্পে ফিরে এসে দুর্ঘটনার খবর দিয়েছিলেন। ক্লান্ত, বিধ্বস্ত, ত্রস্ত তাশির মুখ থেকে ছেঁড়া ছেঁড়া বিবরণ শুনে রাজীব ভট্টাচার্য (মূল শৃঙ্গ অভিযানের সদস্য) ধরে নিয়েছিলেন, তুষারধসের মুখে পড়েই হারিয়ে গিয়েছেন ছন্দারা। তাঁর বয়ান ছিল, ক্লান্ত ছন্দা প্রথমে পা হড়কেছিলেন। গোড়ায় তাঁকে আটকে দিয়েছিলেন তেমবা। কিন্তু তার পর সামলে নিয়ে উঠে দাঁড়ানোর আগেই প্রবল তুষারধস এসে দড়ি ছিঁড়ে তিন জনকে নিয়ে খাদে মিলিয়ে যায়।

এ দিন বিকেলে কিন্তু তাশি পরিষ্কার বলছেন, আলাদা করে কোনও তুষারধসের সামনে পড়েননি তাঁরা। বরং পা পিছলে পড়তে পড়তেই পাহাড়ের গা থেকে খসে পড়েছিল বরফের তাল। ছন্দার সঙ্গে একই দড়িতে বাঁধা অবস্থায় তাঁর সঙ্গেই পড়ে গিয়েছিলেন দাওয়া ওয়াংচুক এবং নিম্মা তেমবা।

ছন্দার সঙ্গে গত প্রায় চার-পাঁচ বছর ধরে পাহাড়ে যাচ্ছেন তাশি। এভারেস্ট অভিযানেও সঙ্গে ছিলেন। নিজের বাড়ি দার্জিলিংয়ে। এখন কাঠমান্ডুতে রয়েছেন, উদ্ধারকাজে সাহায্য করছেন। বিভিন্ন পবর্তারোহণ সংস্থার হয়ে কাজ করতে অভ্যস্ত তাশি ছন্দার নাড়িনক্ষত্র জানেন।

ছন্দা কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল, শৃঙ্গ
না ছুঁয়ে ফিরলে পরের বার থেকে
আর স্পনসর পাব না।

তাশি শেরপা

ছন্দার ক্ষমতা-দুর্বলতা কিছুই অজানা নয় তাঁর। একসঙ্গে এভারেস্ট-লোৎসে জয় করার পরে এ বার ছন্দা যখন একসঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘারও দু’টি শৃঙ্গ জয় করার অনুমতি বার করতে চাইছিলেন, তখন থেকেই কিন্তু আপত্তি করে আসছিলেন তাশি। বারবার ছন্দাকে বোঝাতে চেয়েছিলেন, কাঞ্চনজঙ্ঘার চুড়োয় পা রাখা এভারেস্টে চড়ার চেয়েও অনেক অনেক বেশি কঠিন। তার জন্য অমানুষিক শারীরিক সক্ষমতা প্রয়োজন। সেটা সাধারণ মানুষের থাকে না। তাশির কথায়, “ছন্দাকে নিজের বোন বলেই মনে হতো আমার। ও-ও আমাকে ডাকত দাজু (নেপালি ভাষায় যার অর্থ দাদা) বলে। কোনও অহঙ্কার ছিল না ওর মধ্যে। ছিল শুধু জেদ। আর সেই জেদেই...।”

১৮ মে কাঞ্চনজঙ্ঘার মূল শৃঙ্গে পা রাখেন ছন্দা-তাশি-টুসি-রাজীব-দীপঙ্কররা। ওই দিনই সন্ধেয় গোটা দলটা নেমে আসে সামিট ক্যাম্পে। ১৯ তারিখ রাত দশটা নাগাদ ইয়ালুং কাং-এর পথে বেরিয়ে পড়েছিলেন ছন্দা। সঙ্গে তাশি, দাওয়া আর তেমবা। দীপঙ্কর এবং টুসি তার আগেই সামিট ক্যাম্প ছেড়ে বেসক্যাম্পের পথে রওনা দিয়েছেন। রাজীব একা থেকে গিয়েছিলেন সামিট ক্যাম্পে।

মূল শৃঙ্গ ছুঁয়ে আসার ক্লান্তি সঙ্গে নিয়ে ইয়ালুং কাং-এর মতো খাড়া বিপদসঙ্কুল পথে পা বাড়ানোটা এমনিতেই ছিল ঝুঁকির। সেই সঙ্গে তাশির বিবরণ বলছে ওই পথে সফল অভিযান যে হেতু খুব কম হয়েছে, তাই ঠিক কতটা দড়ি সঙ্গে রাখা উচিত, সে ব্যাপারে খুব পরিষ্কার আন্দাজ ছিল না কারওরই। একটি কোরীয় দলের রিপোর্ট বলেছিল, ৭০০ মিটার দড়ি দরকার। আরও ৫০০ মিটার বেশি দড়ি নিয়েছিলেন ছন্দারা। তাশি জানাচ্ছেন, শেষ পর্যন্ত তাতেও কুলোয়নি। দড়ি ফুরিয়ে যাওয়াটাও যে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ, সেটা তাশির বয়ান থেকে স্পষ্ট।

তাশি বলেন, “কাঞ্চনজঙ্ঘার মূল শৃঙ্গে রওনা দেওয়ার আগে ১৬ তারিখ রাতেই ইয়ালুং কাং-এর পথে পাহাড়ে খানিকটা দড়ি আগাম লাগিয়ে রেখে এসেছিলাম আমি আর তেমবা।” বড় বড় অভিযানে এমনটাই হয়ে থাকে। শেরপারা আগাম গিয়ে চড়ার পথ খুঁজে দড়ি লাগিয়ে ‘রুট ওপেন’ করে দিয়ে আসেন। ১৯ তারিখ রাতে ওই আগাম তৈরি করা পথ পেরোনোর পর বাকি রাস্তাটা দড়ি লাগাতে লাগাতে ছন্দাদের নিয়ে এগোচ্ছিলেন তাশি। বারো ঘণ্টারও বেশি সময় পাহাড় ভাঙার পর ২০ তারিখ বেলা ১২টা নাগাদ ফুরিয়ে যায় দড়ি।

তাশি বললেন, “দড়ি ফুরিয়ে যেতেই আমি ফেরার কথা বলি।” দড়ি ছাড়া ওই পথে এগোলে বিপদের আশঙ্কা ছিল। কিন্তু ছন্দা রাজি হননি। তাশির কথায়, “ফিরতে হবে শুনেই আপত্তি জানায় ছন্দা। আমি বোঝাতে গেলে কেঁদে ফেলে ও। কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল, শৃঙ্গ না ছুঁয়ে ফিরলে পরের বার থেকে আর স্পনসর পাব না।” পাহাড়ে চড়ার নিয়ম বলে, দলের নেতার সিদ্ধান্ত মানতে হয় সকলকেই। কিন্তু ছন্দার জেদের কাছে হাল ছেড়ে দিয়ে বাধ্য হয়েই আরও একটু এগোনোর সিদ্ধান্ত নেন তাশি। নীচে লাগানো দড়ি খুলে এনে উপরে লাগান। এই করেই চড়া হয় আরও ৩০০ মিটার। শৃঙ্গ তখন খুবই কাছে। সময় বেলা তিনটে। কিন্তু বাদ সাধে আবহাওয়া। চার পাশ সাদা করে তুষারঝড় শুরু হয়ে যায়। এ বার আর কিছুতেই ঝুঁকি নিতে চাননি তাশি। বললেন, “ছন্দা আবারও কাঁদছিল। বলছিল, নীচে গিয়ে কী জবাব দেব আমি?” তাশি বুঝিয়েছিলেন, প্রকৃতিকে অগ্রাহ্য করে কোনও জবাব দেওয়া যায় না। তবু শেষ মুহূর্তে ফিরে আসাটা কিছুতেই মানতে পারছিলেন না ছন্দা। যে কোনও কিছুর শেষ দেখে ছাড়াটাই ওঁর স্বভাব ছিল। কিন্তু আবহাওয়া বুঝিয়ে দিচ্ছিল, পিছিয়ে আসা ছাড়া গতি নেই।

ফেরার পথে আবারও সমস্যা হয়ে দাঁড়াল দড়ি। তাশি জানালেন, কিছুটা নামার পর খানিকটা জায়গায় কোনও দড়ি ছিল না। কারণ ওঠার পথে ওখান থেকেই দড়ি খুলে দ্বিতীয় বার লাগিয়েছিলেন তাশি। ফেরার পথে খারাপ আবহাওয়ার কারণে দ্রুত নামার তাড়া ছিল। তাই নতুন করে পাহাড়ের গায়ে দড়ি লাগানোর সময় ছিল না। ফলে ক্লান্ত শরীরে ৮০ ডিগ্রি খাড়া ওই সরু বিপদসঙ্কুল জায়গাটা ‘রানিং বিলে’ পদ্ধতিতে নামতে বাধ্য হন তাঁরা। ওই উচ্চতায় যেটা কখনওই কাম্য নয় বলে মনে করেন অভিজ্ঞ পর্বতারোহীরা।

নিজের বাড়িতে দীপঙ্কর ঘোষ। বেলানগরে। —নিজস্ব চিত্র।

‘রানিং বিলে’ পদ্ধতিটা কী রকম? একটা আলগা দড়িতে তিন জনে বাঁধা। সামনে দাওয়া, পিছনে তেমবা, আর মাঝখানে ছন্দা। ওঁদের পিছনে, একটু উপরে তাশি নিজে। দড়ি ছাড়া। তিনি গাইড করছিলেন ওঁদের। দাওয়া খানিকটা নামার পর নিজেকে ‘অ্যাঙ্কর’ করছিলেন (বরফের গায়ে আইস অ্যাক্স বা অন্য যন্ত্রের সাহায্যে নিজেকে আটকে নেওয়া)। তার পর ছন্দা নামছিলেন। ছন্দা নামার সময়ে তাঁকে ‘বিলে’ দিচ্ছিলেন তেমবা। মানে, ছন্দার কোমরে আটকানো দড়িটির নিয়ন্ত্রণ ছিল তেমবা-র হাতে। যাতে ছন্দা যদি কোনও কারণে পড়ে যান এবং ‘আইস অ্যাক্সে’র সাহায্যে নিজেকে ‘অ্যারেস্ট’ করতে না পারেন, তা হলে তেমবা সেই দড়িটা আটকে দেবেন। দড়িতে ঝুলে যাবেন ছন্দা। ওই ভাবেই ছন্দা নেমে দাওয়ার কাছে পৌঁছনোর পর নামবেন তেমবা। ফের নামতে শুরু করবেন দাওয়া।

কিন্তু ৮০ ডিগ্রি খাড়া সরু পাহাড়ে এই পদ্ধতিতে নামতে গিয়ে এক জন পা হড়কালে যে হ্যাঁচকা টান পড়ে, তাতে যে ‘বিলে’ দিচ্ছে তারও পড়ে যাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা থেকে যায়। ঠিক সেটাই হয়েছিল এই ক্ষেত্রে। তাশি জানালেন, ছন্দা পড়ে গিয়ে ‘অ্যারেস্ট’ করতে পারেননি নিজেকে। তেমবা চেষ্টা করেও আটকাতে পারেননি ছন্দাকে। নিজেকেও নয়।

দু’জনের শরীরের ধাক্কায় খাড়া পাহাড়ের গা থেকে খসে পড়ে বরফের তাল। ছন্দা-তেমবার দেহের ওজন আর খসে পড়া বরফের তাল দাওয়াকেও ফেলে দেয়। “ছুটে নীচের দিকে নেমে দেখতে গিয়েছিলাম, যদি ওদের আটকানো যায়। কিন্তু তখন চারপাশ শুধু সাদা,” বললেন তাশি।

চোখেমুখে এখনও লেগে রয়েছে দুর্ঘটনার আতঙ্ক। জানালেন, পাহাড়ের গায়ে লাগানো দড়ি ছাড়াই খাড়া জায়গাটা প্রায় নেমে গিয়েছিলেন ছন্দারা। আর কয়েক ফুট নীচেই দড়ি লাগানো ছিল। ওটুকু পৌঁছে যেতে পারলেই বিপদ কেটে যেত।

কিন্তু এমন ঝুঁকির পথে যখন বাধ্য হয়ে ‘রানিং বিলে’ পদ্ধতি নিতে হচ্ছে, তখন নিজে কেন ছন্দার সঙ্গে একই দড়িতে থাকলেন না তাশি? অভিজ্ঞ শেরপা কিছুটা থমকালেন। বললেন, নিজে দড়ি ছাড়াই উপরে থেকে গাইড করতে চেয়েছিলেন। ভাবেননি, এ রকম ঘটে যাবে।

পরের দিন দুপুরে তাশি একা নেমে আসেন বেসক্যাম্পে। রাজীবকে জানান সব। বললেন, “মাথার ঠিক ছিল না তখন। দুর্ঘটনার সময় যে বরফের তাল ধসে পড়ে, সেটার কথা বলতেই তুষারধস ভেবে বসে সবাই। সেই মুহূর্তে অত ব্যাখ্যা করে বোঝানো সম্ভব ছিল না আমার পক্ষে।”

শুকনো মুখটায় অসংখ্য ভাঙচুরে খেলা করছে অনুভূতিরা। চোখের সামনে বরফ-গহ্বরে মিলিয়ে যেতে দেখেছেন দীর্ঘ দিনের সহ-অভিযাত্রীদের। নিজে দড়িতে থাকলে কি বাঁচাতে পারতেন ছন্দাকে? ছন্দার জেদ মেনে না নিলেই কি ঠিক হতো? এই প্রশ্নগুলো হয়তো সারা জীবনই তাড়া করবে ছন্দার ‘তাশি দাজু’কে।

এ বার ছন্দার খোঁজ হেঁটে: অরূপ

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে গিয়ে নিখোঁজ ছন্দা গায়েন ও তাঁর সঙ্গী দুই শেরপা-র খোঁজ ও উদ্ধারের কাজ প্রতিকূল আবহাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে। রাজ্যের যুবকল্যাণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস মঙ্গলবার বলেন, “২৪ মে-র পর থেকে আবহাওয়া খারাপ। তাই উদ্ধারের কাজ চালানোই যায়নি বলে নেপাল সরকারের পর্যটন ও অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের যুগ্মসচিব মধুসূদন বারলাকোটি জানিয়েছেন।” অরূপবাবু জানান, আজ, বুধবার থেকে আবহাওয়া ভাল হতে পারে। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পায়ে হেঁটেও ছন্দার খোঁজে অভিযান শুরু হবে। গত ১৮ মে ছন্দার সঙ্গে রাজ্যের যে তিন পর্বতারোহী কাঞ্চনজঙ্ঘায় পা রেখেছিলেন, তাঁদের অন্যতম দীপঙ্কর ঘোষ এ দিন তাঁর বালির বাড়িতে ফিরেছেন। তাঁর কথায়, “চার বাঙালি এক সঙ্গে যখন কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় পা রেখেছিলাম, মনটা আনন্দে ভরে গিয়েছিল। কিন্তু এখন সেই আনন্দের রেশটুকুও নেই।” তিনি জানান, ওই দিন দুপুরটা ওখানেই কাটানোর পরে সন্ধে সাড়ে ৭টা নাগাদ সামিট ক্যাম্পের উদ্দেশে নামতে শুরু করেন তাঁরা। অত্যন্ত ক্লান্ত থাকায় সে সময় দীর্ঘক্ষণ দীপঙ্করের হাত ধরে নেমেছিলেন ছন্দা। ক্যাম্পে ফিরে অবশ্য তাঁদের মধ্যে আর কথা হয়নি। পর দিন সকালে বাকিরা ফেরার পথ ধরলেও ছন্দা তিন শেরপাকে নিয়ে ইয়ালুং কাং-এর উদ্দেশে রওনা হয়েছিলেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন