দক্ষিণের কড়চা

‘ভাদ্র শুক্লাষ্টমী তিথি বিশাখা নক্ষত্র তথি শ্রীমতী জন্ম সেই কালে / মধ্যদিন গত রবি দেখিয়া বালিকা ছবি জয় জয় দেই কুতূহলে।/ বৃষভানুপুরে প্রতি ঘরে ঘরে জয় রাধে শ্রীরাধে বলে।’ এই পদ গাইতে গাইতেই সারা দিন ধরে প্রস্তুতি চলছে রাধাষ্টমীর আয়োজনের। কৃষ্ণপ্রিয়া রাধা আয়ানের স্ত্রী। বৃন্দাবনের পাশের বর্ষাণা গ্রামের সেই কিশোরী সারা মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান চরিত্র।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:১৮
Share:

রাধাষ্টমী

Advertisement

শ্রীমতী জন্ম সেই কালে

‘ভাদ্র শুক্লাষ্টমী তিথি বিশাখা নক্ষত্র তথি শ্রীমতী জন্ম সেই কালে / মধ্যদিন গত রবি দেখিয়া বালিকা ছবি জয় জয় দেই কুতূহলে।/ বৃষভানুপুরে প্রতি ঘরে ঘরে জয় রাধে শ্রীরাধে বলে।’ এই পদ গাইতে গাইতেই সারা দিন ধরে প্রস্তুতি চলছে রাধাষ্টমীর আয়োজনের। কৃষ্ণপ্রিয়া রাধা আয়ানের স্ত্রী। বৃন্দাবনের পাশের বর্ষাণা গ্রামের সেই কিশোরী সারা মধ্য যুগের বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান চরিত্র। তাঁকে ঘিরেই প্রাণ পেয়েছে জয়দেব, বড়ু চণ্ডীদাস, বিদ্যাপতি থেকে শুরু করে ভানু সিংহ পর্যন্ত কবিদের রচনা। সেখানে রাধা কখনও প্রণয়ী, কোনও ব্রীড়াবনতা, কখনও অভিসারিকা, কখনও ঝগরুটেও। তবে জয়দেবেরও আগে সংস্কৃতে রাধা-কৃষ্ণের পদ পাওয়া যায় বাংলায়। চিরন্তন প্রমীলা রাধার সেই রূপের স্থান রয়েছে নানা লোকাচারেও।

Advertisement

স্থানীয় পুণ্যচর্চাতে তিনি প্রণয়ী ও পূজ্য। যে কারণেই মাহ ভাদরের ভরা বাদরে রাধার জন্মের ক্ষণটি বাঙালি উদ্যাপন করে বড় আদর করে। চৈতন্যধাম নবদ্বীপে এ দিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় কীর্তন। পাঠ। সেই সঙ্গে ফুল দিয়ে সাজানো হয় বিগ্রহ। সন্ধ্যায় এই প্রাচীন শহরের মঠগুলি যেন গোপবালিকা রাধার দ্যুতিতেই উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। প্রবীণ, নবীন বৈষ্ণবেরা যত দূর সাধ্য সাজিয়ে তোলেন মঠ-মন্দিরগুলি। দিনে ও রাতের ভোগের রাজকীয় আয়োজন করা হয়। এর আগের অষ্টমীটিই ছিল কৃষ্ণের জন্মক্ষণ জন্মাষ্টমী। তাই রাধাষ্টমীর অনুষ্ঠান যেন সেই উৎসবেরই বৃত্ত সম্পূর্ণ করে। একই সঙ্গে, এই উৎসব শুরু করে দেয় শারদ উৎসবমালা। এরপরই যে শুরু হয়ে যাচ্ছে দুর্গাপুজোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি। যা চলবে রাস পর্যন্ত। নবদ্বীপের ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, পর্যটনের উপরেই এই শহর নির্ভর করে তাই সেখানে এমন উৎসবে বাইরে থেকে বহু মানুষ আসেন। তাতে নগরীর অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটে। সেই সঙ্গে, এই উৎসব সংস্কৃতিরও। নবদ্বীপের মঠ-মন্দিরে যখন এই উপলক্ষে গাওয়া হচ্ছে প্রায় সাড়ে পাঁচশো বছর ধরে ছনিয়ে থাকা নানা কাব্যের, ইস্কনে তখন অভিনীত হচ্ছে রাধাষ্টমী উপলক্ষে বিশেষ নাটক।

নয়া নজরুল

‘বাজাইয়া বেণু চরাইয়া মেঘ

উদাসী রাখাল গোঠে মাঠে,

আরবী ভাষারে লীলা সাথী

করে রেখেছিল পল্লির বাটে।’

দীর্ঘ কয়েক দশক অপ্রকাশিত ছিল। সম্প্রতি কাজী নলজরুল ইসলামের এমনই দু’টি দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ ফের জনসমক্ষে নিয়ে এল কলকাতার ‘চারুপাঠ প্রকাশনী’। উপরের ছত্রটি তারই একটি ‘মরু-ভাস্কর’ কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া। মূলত হজরত মহম্মদের জীবনীকে ঘিরেই গ্রন্থ এগিয়েছে। জন্মের আগে আরব দুনিয়ার বিশৃঙ্খল সময় থেকে তাঁর নবি হওয়া পর্যন্ত সময়পর্ব নিয়ে লেখা হয়েছে এই গ্রন্থ। নজরুলের আগে কলকাতা থেকে মহম্মদ ওয়াজেদ আলি একই নামে একই বিষয়ে একটি গ্রন্থ লিখেছিলেন। সে দিক থেকে দেখতে গেলে নজরুলের গ্রন্থটি অসম্পূর্ণ। কিন্তু তাঁর এই গ্রন্থের বিভিন্ন অনুষঙ্গে গ্রাম বাংলার মাটির গন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে বাঙালি হিন্দু-মুসলিম যৌথ সংস্কৃতির ছাপও। তাতে কবির প্রকৃত মানবপ্রেমের সাধক রূপই ফুটে উঠেছে। ‘মরু-ভাস্কর’-এর সঙ্গেই প্রকাশিত হয়েছে নজরুলের আরও একটি অনালোচিত গ্রন্থ ‘কাব্য আমপারা’। এটি আসলে কোরান শরিফের বাংলা কাব্যানুবাদ। প্রথম গ্রন্থটি মিজানুর রহমান গাজি এবং দ্বিতীয়টি আবদুর রউফ সম্পাদনা করেছেন। দু’জনেই জানাচ্ছেন, গ্রন্থ দু’টি বহু দিন এ বাংলায় পাওয়া যেত না। কবির ভ্রাতুষ্পুত্র, ‘চুরুলিয়া নজরুল আকাদেমি’র সম্পাদক মজাহার হোসেনের সহযোগিতায় ফের প্রকাশ করা সম্ভব হল। মজাহার জানিয়েছেন, খুব তাড়াতাড়িই তাঁরা কবির জন্মভিটে চুরুলিয়ায় গ্রন্থ দু’টি নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করতে চলেছেন।

নব সাজে জীবিৎকুণ্ড

পুরাণকথায় রয়েছে তার উল্লেখ। সাধক বশিষ্ট দেবের নাম যেমন জড়িয়ে আছে সে উল্লেখ্যে, আছে সাধক বামাক্ষ্যাপার নামও। নব সাজে পুণ্যার্থীদের জন্য নতুন রূপে খুলে গেল তারাপীঠের সেই জীবিৎকুণ্ড। লোকশ্রুতি, ১৭৭৫ খ্রিস্টাব্দে নাটোরের রানি ভবানীর দত্তক পুত্র রাজা রামকৃষ্ণ রায় তারামায়ের মন্দির সংস্কার ও ভোগ পূজার বন্দোবস্ত করেন। ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে মল্লারপুরের জমিদার জগন্নাথ রায় বর্তমান মন্দির তৈরি করেন ও জীবিৎকুণ্ডুর সংস্কার করেন। এক সময় এর জলেই মা তারার ভোগ রান্না হত। একসময় কুণ্ডের জল যথেচ্ছ ব্যবহারে এবং পলিথিন-বর্জ্য পদার্থ জমে জল দূষিত হয়ে পড়ে। তা দেখে, ১৯৯৬ সালে তারামাতা সেবাইত সংঘ কুণ্ডের স্থায়ী সংস্কার জন্য চার দিক প্রাচীর দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু করে। পুণ্যার্থীদের জন্য কুণ্ডের চারধারে রেলিং ও মাথার শেড, পর্যাপ্ত আলো, পানীয় জল ও বিশ্রামের ব্যবস্থা করে দিয়েছে একটি বেসরকারি সংস্থা। বসানো হয়েছে কুণ্ডের প্রাচীরে বিভিন্ন ফাইবার মূর্তিও। তারামাতা সেবাইত সংঘের সদস্য প্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জীবিৎকুণ্ড ঘেরা প্রাচীরে বিভিন্ন ফাইবার মূর্তির ইতিহাস থেকে বীরভূমের অন্য তীর্থক্ষেত্রের দেব দেবী ও তারাপীঠের ঘটনা পরম্পরার একটি সম্যক ধারণা তুলে ধরা হয়েছে।”

আরশি-লীনা

কথিত ইতিহাসের সূত্রে জানা যায় লালন প্রায় হাজার দশেক গান বেঁধেছিলেন। কিন্তু তার মধ্যে পাওয়া যায় হাজার তিনেক। কয়েকটি বাদ দিয়ে সেগুলিরও বেশিরভাগই শ্রোতার কাছে স্বল্প পরিচিত। ‘ইতরপনা কার্য আমার’, ‘মনের হইল মন্দ গতি’, ‘কই হল মোর মাছধরা’ ইত্যাদি কয়েকটি স্বল্প পরিচিত লালনের গানই রেকর্ড করলেন আসানসোলের দেবলীনা সিংহ রায়। তাঁর গাওয়া ১০টি গান আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর এইচএমভি থেকে প্রকাশ পেতে চলেছে। অ্যালবামের নাম ‘লালন বলে’। অ্যালবামের ‘জাতির গৌরব কোথায় রবে’ গানটি এই প্রথম রেকর্ড হয়েছে বলে জানা গেল। গানগুলিতে সুর আরোপ করেছেন দেবলীনার শিক্ষক লোকসঙ্গীত শিল্পী তপন রায়। গানগুলিতে ব্যবহৃত যন্ত্রের ব্যাবস্থাপনাও বেশ নতুন ধরনের। তবলা, দোতারার সঙ্গে সঙ্গত ঘটেছে ম্যান্ডোলিনের (বা ইতালিয় মান্দোলিনো) মত যন্ত্রের। দেবলীনা অল্প বয়েস থেকে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নিয়েছেন। কিন্তু বিশেষভাবে টানত লালন সাঁইয়ের গানের কথাগুলো। বড় হতেই তাই রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকসঙ্গীত বিষয়ে পড়াশোনা শুরু করলেন। সঙ্গে চলতে থাকল লালনের গান গাওয়া। নিয়মিত যাতায়াত শুরু করলেন লোকসঙ্গীত শিল্পী শুভেন্দু মাইতির ‘লালন অ্যাকাডেমি’তে। দেবলীনা এর আগে ২০১১ সালে লোকসঙ্গীত চর্চার জন্য ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে স্কলারশিপ পেয়েছেন। রবীন্দ্র ভারতীর লেকসঙ্গীতের অধ্যাপিকা রীতা সাহা ‘লালন বলে’ অ্যালবমটি সম্পর্কে বলেন, “দেবলীনার গায়কীতে লোকসঙ্গীতের অকৃত্রিম সুরটি পাওয়া যায়। যন্ত্রের ব্যবস্থাপনাও গানগুলিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।” এখন দেখার দেবলীনার লালন সাঁইকে শ্রোতারা কীভাবে গ্রহণ করেন।

খোয়াই

বাইশে শ্রাবণ শান্তিনিকেতন থেকে প্রকাশিত হল ‘সাহিত্য ও সংস্কৃতি-মূলক সংকলন’ পত্রিকা ‘খোয়াই’। পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৯৯ বঙ্গাব্দে। পাঠভবনের শিক্ষক কিশোর ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় এ পত্রিকায় নানা সময় লিখেছেন অমিতা সেন, ভবতোষ দত্ত, আলপনা রায়রা। নতুন সংখ্যায় লিখেছেন সাগরিকা ঘোষ, শীর্ষেন্দু মজুমদার, সাগ্নিক দাশগুপ্ত প্রমুখ। রাজবংশী ভাষায় রবীন্দ্রনাথের গানের অনুবাদ নিয়ে তথ্য সমৃদ্ধ নিবন্ধ লিখেছেন রমা দাস। মৌসুমী ভট্টাচার্যের ‘পুথির পুষ্পিকায় শিক্ষা’ লিপিকর, অর্থাৎ যাঁরা পুথি নকল করতেন, তাঁদের নিয়ে লেখা। মহিলা লিপিকর, মুসলিম লিপিকরদের কথা যেমন পাওয়া যায়, তেমনই মেলে গোপ, রজক, বাগদি জাতির লিপিকরদের কথাও। মধুরেণ সমাপয়েৎ নীতিতে শেষে কিছু কবিতা।

খেয়ালী ২৫

স্থানীয় মানুষ ওঁকে চেনেন গিরীন ডাক্তার বলে। বাঁকুড়া পৌরসভার হোমিওপ্যাথ ডাক্তার গিরীন্দ্রশেখর চক্রবর্তী তারাশঙ্করের আরোগ্য নিকেতনের মতোই রোজ সকালে নিজের ডিসপেন্সারিটি খুলে বসেন। কিন্তু কাজের মাঝে মাঝে চিন্তা চলে ‘খেয়ালী’ নিয়ে। ‘খেয়ালী’ ওঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত পত্রিকা। কিন্তু আর পাঁচটা পত্রিকার মতো নিছক গল্প-উপন্যাস-কবিতায় ভরিয়ে তোলেন না পত্রিকা। এক একটি সংখ্যা তৈরি হয় এক একটি প্রসঙ্গ নিয়ে। সম্প্রতি যেমন রজতজয়ন্তী সংখ্যায় প্রকাশিত হল জঙ্গলমহলের ভূত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ নিয়ে একগুচ্ছ লেখার সংকলন। কাজ চলছে বাঁকুড়ার বিস্মৃত শিল্পী সত্যেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশেরও, জানালেন গিরীন্দ্রশেখর।

পলাশ-কথা

যখন আপনি নিজেই নিজের মুখোমুখি, তখন কি কখনও মনের ভিতর ঘাই মারে পলাশের রং? প্রথম যৌবনের পুরনো রেজার অথবা চুল ধরার ক্লাচার কেউ কি পলাশরঙা কোনও কথা মনে পড়ায়? এ ভাবেই ওঁরা লেখা চাইছেন, কেবল পলাশ নিয়ে। ওঁরা মানে ‘রূপনারায়ণপুর সংবেদনা’র একদল তরুণ স্রেফ পলাশ নিয়ে রম্যরচনা, গল্প, প্রবন্ধ আর কবিতায় সাজিয়ে ওঁরা বাৎসরিক প্রকাশ করেন পত্রিকা ‘পলাশ কথা’ ইতিমধ্যে দুটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। আগামী বসন্তে তৃতীয়টি প্রকাশের তোড়জোড় চলছে।

কাঁকসা থেকে চিৎপুর

নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় লিখেছিলেন একাঙ্ক নাটক ‘ভগবানের চাবুক।’ তাঁর স্কুল দুর্গাদাস বিদ্যামন্দিরে অভিনীত হয় সেই নাটক। আর আজ? কাঁকসার প্রত্যন্ত গ্রামের এই বাসিন্দার লেখা যাত্রাপালা অভিনীত হয় চিৎপুরের সব বড় বড় অপেরায়। মলানদীঘি গ্রামের ব্রহ্মময় চট্টোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত লিখেছেন ২৫টি যাত্রাপালা, এর মধ্যে অভিনীত হয়েছে ১৫টি। বছর সাতচল্লিশের ব্রহ্মময়বাবু এখন দুর্গাদাস বিদ্যামন্দিরেরই শিক্ষক। সংস্কৃতির চর্চা রয়েছে পরিবারেই, বাবা চন্ডীচরণ চট্টোপাধ্যায় স্কুলশিক্ষকতার পাশাপাশি কবিতা লিখতেন। যাত্রার সুরকার পানাগড়ের প্রদীপ ঘোষের সঙ্গে প্রথম চিৎপুরে যান ব্রহ্মময়বাবু। তাঁর প্রথম যাত্রাপালা, পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে রচিত ‘শংকরনন্দিনী মনসা’, পরিবেশন করে মোহন অপেরা। দূরদর্শনে ২০০০ সালে তা দেখানোও হয়। তাঁর লেখা যাত্রাপালার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য ওস্তাদের মার শেষ রাতে, বস্তির ছেলে বাদশা, চিরদিনই তুমি যে আমার, চিরবিদায় চাইতে এলাম, আমি সার্কাসের জোকার, ভালবাসা ছাড়া আর আছে কী। নাট্যনিকেতন, লোকনাট্য, লোকবন্দনা, পুষ্পাঞ্জলি, দিগ্বিজয়ী, সোনার তরী-র মতো অপেরা তাঁর পালা অভিনয় করেছে। শখের যাত্রাগোষ্ঠীর জন্যও যাত্রা লিখেছেন তিনি। ২০১৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল ‘ভালবাসার ভাগ-শেষ’। বর্তমানে যাত্রার যে চরিত্রগত পরিবর্তন হয়েছে তা মেনে নিতে পারেন না ব্রহ্মময়বাবু। তাঁর আফশোস, “বাণিজ্যিক লাভের আশায় যাত্রার লক্ষ্য ও দর্শন বদলাচ্ছে।” চলতি বছরে অষ্টমীর রাতে তাঁর লেখা যাত্রা কে আমার স্বামী-র প্রথম অভিনয় হওয়ার কথা মেদিনীপুরে। অভিনয় করছে অলঙ্কার যাত্রা গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীর কর্তা শুভাশিস আশ বলেন, “ব্রহ্মময়বাবুর যাত্রা বাস্তবমুখী। সংলাপে সামাজিক মূল্যবোধ খুব স্পষ্ট।” এই বছরই প্রকাশিত হয়েছে আরও একটি নাটক, ভগবানের হাতে ভিক্ষার ঝুলি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন