দফতরকে চনমনে করতে ফাঁকা অতিরিক্ত সিইও-পদেও নিয়োগ

বছর দুয়েক খালি পড়ে ছিল পদটি। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতরকে আরও সক্রিয় করার জন্য অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের সেই ফাঁকা পদ অবশেষে পূরণের সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। ওই পদে যোগ দিচ্ছেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডে। অতিরিক্ত সিইও পদে নিয়োগের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের কাছে এক জন অফিসার চেয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:২০
Share:

বছর দুয়েক খালি পড়ে ছিল পদটি। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতরকে আরও সক্রিয় করার জন্য অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের সেই ফাঁকা পদ অবশেষে পূরণের সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। ওই পদে যোগ দিচ্ছেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দফতরের সচিব রাজেশ পাণ্ডে।

Advertisement

অতিরিক্ত সিইও পদে নিয়োগের জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন রাজ্য সরকারের কাছে এক জন অফিসার চেয়েছিল। কমিশন সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার তিনটি নামের তালিকা পাঠায়। সেই তালিকা থেকে রাজেশ পাণ্ডের নামটিই বেছে নেওয়া হয়েছে।

উপনির্বাচন কমিশনার বিনোদ জুৎসি ২৫ মার্চ রাজ্যে এসেছিলেন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতরের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সে-দিন জুৎসির কাছে অভিযোগ করেছিল সব বিরোধী দল। তাদের অভিযোগ ছিল মূলত মুখ্য নির্বাচনী অফিসার (সিইও) সুনীল গুপ্তের বিরুদ্ধে। সিইও-র দফতর যাতে আরও সক্রিয় হয়, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে সেই ব্যাপারে উদ্যোগী হবেন বলে বিরোধীদের আশ্বাস দেন জুৎসি। ডিএম, এসপি-দের সঙ্গে বৈঠকে বিরোধী দলগুলির অভিযোগের কথা জানান তিনি।

Advertisement

বিরোধী দলগুলির মূল অভিযোগ, তাদের দায়ের করা অভিযোগের নিষ্পত্তি হচ্ছে না। জুৎসির কলকাতা সফরের পরে সিইও-র দফতর যে গা-ঝাড়া দিয়েছে, ওই দফতরের অনেকে তা কবুল করছেন। বিভিন্ন দলের অভিযোগ খতিয়ে দেখে চটজলদি ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী হয়েছে ওই দফতর। জেলাশাসকেরাও সক্রিয় হয়ে বিভিন্ন প্রার্থীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে শুরু করেছেন। রবিবার রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তখন কোনও দল যাতে সিইও-র অফিসের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে না-পারে, তার জন্য এই সক্র্রিয়তা বলে কমিশন সূত্রের খবর।

কমিশনেরই খবর, কুবাক্য ও উস্কানির অভিযোগ ওঠায় সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমান, তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, তৃণমল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে জেলাশাসকেরা কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছিলেন। সৌগতবাবু ইতিমধ্যে জবাব দিয়েছেন। অনুব্রতবাবু ও আনিসুরের উত্তর মঙ্গলবার মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতরে পৌঁছয়। উত্তর খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে।

নির্বাচনী বিধি ভাঙায় বারাসতের বিজেপি প্রার্থী পি সি সরকারের বিরুদ্ধে এ দিন বারাসত থানায় এফআইআর দায়ের করেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। কয়েক দিন আগে বারাসতে প্রচারের সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদারের উদ্দেশে পি সি সরকার কটু মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। তাঁকে শো-কজ করা হয়। পি সি সরকারের জবাব সন্তোষজনক না-হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রতবাবুর বিরুদ্ধে মঙ্গলকোটে দলের কর্মিসভায় উস্কানিমূলক কথা বলার অভিযোগে মামলা করেছিল পুলিশ। অনুব্রতবাবু থানায় চিঠি পাঠিয়ে দাবি করেন, তিনি ওই মন্তব্য করেননি। ওই সভার ভিডিও ফুটেজ ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পুণেতে পাঠানো হয়েছে। ফুটেজের কণ্ঠস্বরের সঙ্গে অনুব্রতবাবুর কণ্ঠস্বর মিলে গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।

কোনও দল বা ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠলেই পুলিশ যাতে এফআইআর নেয়, সিইও-র দফতর থেকে সেই ব্যাপারে জেলাশাসকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি করতে জেলাশাসকদের ব্যক্তিগত ভাবে উদ্যোগী হতে বলেছেন সিইও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন