না-জানিয়ে ভোটার তালিকা থেকে আর নাম ছাঁটাই নয়

আর হুটহাট ভোটার তালিকা থেকে নাম ছেঁটে ফেলা যাবে না। যদি কারও নাম বাদ দিতেই হয়, ডাক মারফত কিংবা এসএমএস বা ই-মেল করে সেটা তাঁকে আগাম জানাতে হবে। এই নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। তারা জানিয়ে দিয়েছে, না-জানিয়ে ভোটার তালিকা থেকে আর কারও নাম বাদ দেওয়া চলবে না।

Advertisement

কাজী গোলাম গউস সিদ্দিকী

শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৪ ০৩:০০
Share:

আর হুটহাট ভোটার তালিকা থেকে নাম ছেঁটে ফেলা যাবে না। যদি কারও নাম বাদ দিতেই হয়, ডাক মারফত কিংবা এসএমএস বা ই-মেল করে সেটা তাঁকে আগাম জানাতে হবে। এই নির্দেশ নির্বাচন কমিশনের। তারা জানিয়ে দিয়েছে, না-জানিয়ে ভোটার তালিকা থেকে আর কারও নাম বাদ দেওয়া চলবে না।

Advertisement

হঠাৎ এমন ব্যবস্থা কেন?

এই প্রশ্নের পিছনেও আছে একটি প্রশ্ন। হাতে সচিত্র পরিচয়পত্র নিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ ভোটের লাইনে দাঁড়ানোর পরে শেষে ভোটার জানতে পারলেন, তালিকায় তাঁর নাম নেই। এমন ঘটনা নতুন নয়। তাই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে সচিত্র পরিচয়পত্র থেকে লাভ কী?

Advertisement

এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই নির্বাচন কমিশন জানতে পেরেছে, কোনও কারণে ভোটারের নাম বাদ গেলে বহু ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে তা জানানোই হয় না। ফলে বুথে পৌঁছে তিনি যখন জানতে পারেন তাঁর ভোট দেওয়ার অধিকার খর্ব হয়েছে, তখন আর ভোটারের কিছু করার থাকে না। সদ্য-সমাপ্ত লোকসভা ভোটের পরে এমন ভূরি ভূরি অভিযোগ পৌঁছেছে নির্বাচন সদনে।

এমনকী এই অভিযোগে একটি জনস্বার্থ মামলাও হয়েছে বোম্বাই হাইকোর্টে। সেই মামলার রায় দিতে গিয়ে আদালত বলেছে, দেশের সব প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের নাম যাতে ভোটার তালিকায় থাকে, নির্বাচন কমিশনকেই সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

তার পরেই সব রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের কাছে নতুন করে একাধিক নির্দেশ পাঠিয়েছে নির্বাচন সদন।

কমিশন বলেছে, কারও নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হলে সেই তথ্য তাঁকে এসএমএস, ই-মেল বা ডাকযোগে আগাম জানাতে হবে। যাতে তিনি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ইআরও)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। শুধু তা-ই নয়, কারও নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিতে হলে জেলা নির্বাচনী অফিসারের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছে কমিশন। তাদের নির্দেশ, কারও নাম একাধিক কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় থাকলে একটি বাদ দেওয়ার আগে তা লিখিত ভাবে নোট দিতে হবে সংশ্লিষ্ট ইআরও-কে।

ওই নোটে লিখতে হবে, সব নথি খতিয়ে দেখে একেবারে নিশ্চিত হওয়ার পরেই একটি কেন্দ্রের ভোটার তালিকা থেকে সংশ্লিষ্ট ভোটারের নাম বাদ দিলেন ইআরও। একাধিক জেলাশাসক এই বিষয়টিকে কার্যত মুচলেকা হিসেবেই দেখছেন। তাঁদের বক্তব্য, দায়িত্ব নির্দিষ্ট করতেই এই পদক্ষেপ করেছে কমিশন।

রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার সুনীল গুপ্ত জানান, কমিশনের নতুন নির্দেশ রূপায়ণে জুলাই-অগস্টে কমিশনের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজখবর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। সাধারণ মানুষ যাতে এই ধরনের অভিযোগ সহজে জানাতে পারেন এবং সেখানেই যাতে অভিযোগের নিষ্পত্তি হয়ে যায়, তার জন্য বিশেষ শিবির করবে কমিশন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement