পাড়ুইয়ে মঞ্চে বসে নির্যাতিতা (ডান দিক থেকে দ্বিতীয়)। নিজস্ব চিত্র।
সাত্তোরের বিজেপি কর্মীর স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় দোষী পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইল সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি। মঙ্গলবার নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে দোষীদের অবিলম্বে শাস্তির দাবিতে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনন্দ রায়ের কাছে স্মারকলিপি দিল ওই সংগঠন। সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা মিনতি ঘোষ বলেন, “পুলিশের এই নির্যাতন মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও ছাড়িয়ে গেছে। দোষী পুলিশ কর্মী ও আধিকারিকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আর্জি রাখা হয়েছে।”
সাত্তোরে নির্যাতিতার বাড়িতে এ দিন দুপুরে পৌঁছয় রাজ্য নেতৃত্ব। তার আগে সকালে জেলা সদর সিউড়িতে গিয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন তিন বিধায়িকা-সহ সংগঠনের রাজ্য নেতৃত্বের ৯ সদস্যা এবং জেলা নেতৃত্ব। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করার পর সংবাদমাধ্যমকে তাঁরা জানান, যে ভাবে ওই বধূকে বাপের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে তাঁর উপর অকথ্য অত্যাচার চালানো হয়েছে, তাতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এই নিয়ে আমারা মানবাধিকার কমিশন ও রাজ্য মহিলা কমিশনকে জানাব। যদিও আজকের মানবাধিকার কমিশন বা মহিলা কমিশন অকেজ ও পঙ্গু হয়ে গিয়েছে। তাও আমরা বিষয়টি জানাব।
নারী নির্যাতন-সহ নানা ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেসের অবরোধ পুরুলিয়ায়।
নির্যাতিতা এবং তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে সবরকমের সহায়তার আশ্বাসও দেয় সমিতি। ঘটনার প্রতিবাদে নির্যাতিতার বাড়ির পাশে একটি ধিক্কার মিছিল ও সভা করেন পরে জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব। সমিতির দাবি, বাংলায় মহিলাদের ওপর তৃণমূল এবং পুলিশি সন্ত্রাসের প্রতিবাদে এবং বন্ধের আর্জিতে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের কাছে ঘটনার কথা জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আর্জি জানান হবে। প্রসঙ্গত, এ দিন নির্যাতিতার ফের শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়েছে। বিকেলে (সিপিডিআর) পশ্চিম বঙ্গ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির কলকাতার ব্যারাকপুর থেকে এগারো সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আসে নির্যাতিতার বাড়িতে।