সাংগঠনিক দুর্বলতায় দীর্ঘদিন ধরে যুব কংগ্রেসের অনেক পদই ফাঁকা। নেতা-কর্মীর অভাবে আন্দোলনও তথৈবচ। এই অবস্থা থেকে সংগঠনের শক্তি বাড়াতে আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের আগে যুব কংগ্রেসকে আন্দোলনমুখী করার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী। সে জন্য ‘নতুন মুখ’ এনে সংগঠনে রদবদলের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।
সেই পরামর্শ মেনেই রাজনীতি মনস্ক, শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের সংগঠনে এনে বিভিন্ন পদের দায়িত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অরিন্দম ভট্টাচার্য। ‘সঙ্কল্প ২০১৬’-র লক্ষ্যে সংগঠনের সদস্য, বিভিন্ন কলেজ বা সংস্থার পেশাদারদের মধ্য থেকে দলের ‘নতুন মুখ’ খোঁজার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। অরিন্দমের কথায়, ‘‘যুব কংগ্রেসের রাজ্য, লোকসভা এবং বিধানসভা স্তরের শূন্য পদগুলি প্রথমে পূরণে জোর দেওয়া হচ্ছে। রাজ্য স্তরেও নেতৃত্ব দেওয়ার মতো লোকের অভাব। সে অভাব মেটাতে রাজ্য স্তরে অন্তত ২০ জনের কমিটি গড়ার ভাবনা রয়েছে।’’
কী ভাবে দ্রুত সংগঠনের শক্তি বাড়ানো যায়, তার দিগ্নির্দেশ দিতে আগামী শুক্রবার কলকাতায় আসার কথা যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অমরেন্দ্র সিংহ রাজা ব্রারের। আশুতোষ মেমোরিয়াল হলে রাজ্য সংগঠনের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা সোমেন ও শিখা মিত্রের পুত্র রোহন মিত্রের। বিলেত থেকে আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে স্নাতকোত্তরের পরে বেশ কিছু দিন সেখানে চাকরিও করেছেন রোহন। রাজার সঙ্গে বৈঠকের পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে যুব কংগ্রেসে তাঁর যোগদানের কথা। রোহনের বক্তব্য, ‘‘শূন্য থেকে শুরু করার মতো রাজ্য স্তরে সংগঠনকে উজ্জীবিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। যে দায়িত্ব সংগঠন দেবে, চেষ্টা করব যথাসাধ্য করতে।’’ দক্ষিণ কলকাতায় রোহনকে দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে দলীয় সূত্রের খবর। রোহনের মতোই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সন্তোষমোহন দেবের ভ্রাতুষ্পুত্র সৌরাংশুমোহন দেবও যুব কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন।