পরীক্ষায় বসলেন অতিরিক্ত ৩২ জন

শেষ পর্যন্ত অ্যাডমিট কার্ড ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়াই পরীক্ষায় বসলেন ভক্তবালা বিএড কলেজের অতিরিক্ত ৩৯ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ৩২ জন। সোমবার নদিয়ার তেহট্টের রেনুকাদেবী বিএড কলেজে তাঁরা পরীক্ষা দেন। এ দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস। তিনি মৌখিক ভাবে পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর দেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অ্যাডমিট কার্ড ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয়নি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০১৪ ০৩:৩২
Share:

শেষ পর্যন্ত অ্যাডমিট কার্ড ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ছাড়াই পরীক্ষায় বসলেন ভক্তবালা বিএড কলেজের অতিরিক্ত ৩৯ জন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ৩২ জন। সোমবার নদিয়ার তেহট্টের রেনুকাদেবী বিএড কলেজে তাঁরা পরীক্ষা দেন। এ দিন পরীক্ষাকেন্দ্রে ছিলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস। তিনি মৌখিক ভাবে পরীক্ষার্থীদের রোল নম্বর দেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে অ্যাডমিট কার্ড ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয়নি। বিমলেন্দুবাবু বলেন, “মাত্র দিন তিনেক আগে বাড়তি পড়ুয়াদের পরীক্ষা দেওয়ার ব্যাপারে সদর্থক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন অ্যাডমিট বানানোর সময় ছিল না।”

Advertisement

নাগাড়ে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পর অবশেষে পরীক্ষায় বসতে পেরে খুশি পরীক্ষার্থীরা। কৃষ্ণনগরের মনু রায় বলেন, “পরীক্ষায় বসতে পেরে অনেকটা চাপমুক্ত মনে হচ্ছে।”

তবে পরীক্ষা দেননি সাত জন। তাঁদের মধ্যে কল্যাণীর এক পড়ুয়া বলেন, “দিন চার আগে পরীক্ষায় বসতে পারব বলে জানি। তারপরে প্রস্তুতির সময় ছিল না। তাই পরীক্ষায় বসলাম না।” আর এক পড়ুয়া জানান, অতিরিক্ত পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ এখনও ঝুলে রয়েছে এনসিটিই-র হাতে। কেন্দ্রের ওই সংস্থা নিয়ম ভেঙে একশো জনের বেশি পড়ুয়ার পরীক্ষাকে বাতিল করে দিতে পারে। তাই তিনি পরীক্ষায় বসলেন না।

Advertisement

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় পরীক্ষা নিয়ামকের তরফে দেওয়া একটি নোটিসেও বলা হয়েছিল, “পরীক্ষার্থীরা নিজেদের দায়িত্বে পরীক্ষা দেবেন। এনসিটিই-র সবুজ সঙ্কেত না পেলে পরীক্ষায় বসা সত্ত্বেও পড়ুয়ারা রেজাল্ট পাবেন না।” প্রসঙ্গত, ভক্তবালা বিএড কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত অনিয়মের বিষয়ে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য সরকার। সেই তদন্তের উপরেও পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে অনেকটাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন