চলতি আর্থিক বছরে শিক্ষা-সহ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর বাজেট বরাদ্দের অনেক টাকাই খরচ করতে পারেনি বলে সোমবার বিধানসভা অধিবেশনে অভিযোগ করল বিরোধীরা।
এ দিন বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার শিক্ষা খাতে চলতি বছরের বাজেট বরাদ্দের প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ করতে পারেনি। বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর আমলে রাজ্যে শিক্ষা গতি হারিয়েছে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা চাকরি পাচ্ছেন না। এই প্রেক্ষিতেই মানসবাবু বলেন, “বাম জমানায় চার জন শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। সেখানে বর্তমানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় একাই গোটা শিক্ষার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ফলে তিনি অতিরিক্ত ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছেন।” মানসবাবুর পরামর্শ, অন্তত দু’জন শিক্ষামন্ত্রী থাকা জরুরি। এক জন স্কুলশিক্ষা এবং অন্য জন উচ্চ শিক্ষার দায়িত্ব নেবেন।
মানসবাবুর অভিযোগকে আমলই দেননি শিক্ষামন্ত্রী পার্থবাবু। তাঁর কটাক্ষ, “টাকা খরচের জন্য যে মন্ত্রী লাগে, তা তো জানা ছিল না! আমলারা আছেন কী করতে? মানসবাবুর কি মন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছে হয়েছে? হয়ে থাকলে মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, ওঁকে মন্ত্রী করে দিতে।”
বিধানসভা অধিবেশনে মানসবাবুর অভিযোগ, পেনশন খাতে চলতি আর্থিক বছরের তুলনায় ২০১৫-’১৬-তে ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সরকার অবসরপ্রাপ্তদের ঠিকমতো পেনশন দিচ্ছেন কি না, সে প্রশ্নও তোলেন মানসবাবু। সিপিএম বিধায়ক তোয়াব আলি বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে দাবি করেন, সরকার ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থান করবে বলেছিল। এখনও পর্যন্ত কোন দফতরে কত কর্মসংস্থান হয়েছে, তার হিসাব দিতে হবে। কংগ্রেস বিধায়ক সাবিনা ইয়াসমিনের অভিযোগ, সব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এ দিন বিধানসভায় আলুচাষিদের লোকসানের প্রসঙ্গ তোলেন ফব বিধায়ক উদয়ন গুহ। তাঁর বক্তব্য, আলুু চাষ করতে প্রতি কিলোগ্রামে চাষিদের ৫ টাকা থেকে ৫ টাকা ২৫ পয়সা খরচ হচ্ছে। কিন্তু তাঁদের আলু বিক্রি করতে হচ্ছে ৩ টাকা কিলো দরে। অভিযোগ খণ্ডন করে তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ী, কল্লোল খান এই বাজেটকে ‘উন্নয়নের বাজেট’ বলে বর্ণনা করেন।