বিতর্কিত মন্তব্যে ব্যাখ্যা খাদ্যমন্ত্রীর

এর আগে নানা সময়ে বিতর্কিত উক্তি করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। এ বার মদের ভাটি ভাঙা নিয়ে মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাবরা শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৪ ০৩:৪২
Share:

এর আগে নানা সময়ে বিতর্কিত উক্তি করে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি। এ বার মদের ভাটি ভাঙা নিয়ে মন্তব্য করে ফের বিতর্কে জড়ালেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

Advertisement

শনিবার সন্ধ্যায় হাবরার হাটথুবা-ঘোষপাড়ায় দেবযানী দত্ত নামে এক তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে লুঠপাট চালিয়েছিল দুই দুষ্কৃতী। রবিবার সকালে তাঁর বাড়িতে গিয়ে হাবরার বিধায়ক জ্যোতিপ্রিয়বাবু বলেন, “বিধায়ক হিসাবে অতীতে দেখেছি, যত মদের ভাটিখানা তুলে দেবেন, জুয়ার ঠেক তুলে দেবেন, তত চুরি ডাকাতির প্রবণতা বাড়ে। এটা একটা অঙ্ক, অঙ্কের খেলা।”

রাজ্যের কোনও মন্ত্রী এমন মন্তব্য করতে পারেন কি না, তা নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। হাবরার বাসিন্দা তথা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ সমাদ্দারের প্রশ্ন, ‘‘তা হলে কি মন্ত্রী বলতে চাইছেন যে ডাকাতি-চুরি রুখতে সাট্টা-জুয়া চালু রাখতে হবে?” চুরি-ডাকাতির সঙ্গে জুয়া-মদের সম্পর্ক নেই দাবি করে হাবরার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক প্রণব ভট্রাচার্য বলেন, “মন্ত্রীর এই ধরনের কথায় দুষ্কৃতীরাই উৎসাহিত হবে।”

Advertisement

সোমবার জ্যোতিপ্রিয়বাবু অবশ্য দাবি করেন, “আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখা করা হচ্ছে। আমি বলেছিলাম, গাইঘাটার বিধায়ক থাকাকালীন দেখেছি মদের ভাটি তুলে দিলে, জুয়ার ঠেক ভাঙলে চুরি-ডাকাতি খুন-রাহাজানি বাড়ে। বাম সরকার তা বন্ধ করতে পারেনি। হাবরায় আমি তা বন্ধ করে দিয়েছি। তিন বছরে এটাই প্রথম ডাকাতির ঘটনা। দুষ্কৃতী গ্রেফতারও হয়ে গিয়েছে।”

জেলা পুলিশের দাবি, গত তিন মাসে মদের ভাটি ও জুয়ার ঠেক চালানোর অভিযোগে হাবরা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০ জন গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কর্তাদের অভিজ্ঞতাও বলছে অবৈধ মদ-জুয়ার ঠেক বন্ধ করে দিলে চুরি-ছিনতাই বাড়ে। কেননা ওই সব ঠেক সাধারণত দুষ্কৃতীরাই চালায়। সেই রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেলে তারা চুরি-ডাকাতি বা অন্য অপরাধমূলক কাজে নেমে পড়ে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন