বাধা-বাগড়া এসেছে পরের পর। এই অবস্থায় পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ডিভিসি-র তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণকাজ চালিয়া যাওয়া উচিত হবে কি না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিল সংস্থার পরিচালন পর্ষদ।
রঘুনাথপুরেই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের সম্প্রসারণের কাজ করা হবে, নাকি প্রয়োজনে তা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, পর্ষদ সেই ব্যাপারেও ভাবনাচিন্তা করতে বলেছে বলে ডিভিসি সূত্রের খবর।
বুধবার কলকাতায় ডিভিসি-র পরিচালন পর্ষদের বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে সংস্থার চেয়ারম্যান অরূপ রায়চৌধুরী ছাড়াও কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব (তাপবিদ্যুৎ) সাই প্রসাদ ও অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
হাজির ছিলেন ডিভিসি-র অন্যতম দুই অংশীদার রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডের দুই বিদ্যুৎসচিবও।
রঘুনাথপুরে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটির প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়ে গেলেও জমি-জটের জন্য সংস্থা-কর্তৃপক্ষ এখনও জলের ব্যবস্থা করে উঠতে পারেননি। তার মধ্যেই তড়িঘড়ি ওই প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শুরু করে দেওয়ায় কিছু দিন আগেই প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রক। কেন্দ্রের বক্তব্য, জলের পাকাপাকি ব্যবস্থা করার পরেই দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণকাজে হাত দেওয়া উচিত ছিল। পরিচালন পর্ষদের বুধবারের বৈঠকেও সেই প্রশ্ন তোলেন কয়েক জন সদস্য। সংস্থা সূত্রের খবর, দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের ব্যাপারে যত দ্রুত সম্ভব চূূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রককে জানাতে বলা হয়েছে।
রঘুনাথপুরে ডিভিসি-র প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৬০০ মেগাওয়াটের দু’টি ইউনিট তৈরি হয়ে গিয়েছে। ওই দু’টি ইউনিট থেকে বাণিজ্যিক ভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গেলে এখন শুধু জলের দরকার। কিন্তু কিছু জমি-মালিকের আপত্তিতে সংস্থা-কর্তৃপক্ষ প্রকল্প এলাকায় সেই জল আনার পাইপ পাততে পারছেন না।
এই জটিলতার মধ্যেই কিছু দিন আগে ডিভিসি তাদের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৬৬০ মেগাওয়াটের আরও দু’টি ইউনিটের নির্মাণকাজ শুরু করে দেয়। অভিযোগ উঠেছে, জমি-মালিকদের একাংশ আরও বেশি দাম এবং চাকরির দাবিতে জলের পাইপ বসাতে বাধা দিচ্ছেন। বৃহস্পতিবারেও পুলিশের পদস্থ কর্তারা সমস্যার সমাধানের জন্য অনিচ্ছুক জমি-মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। কিন্তু জমি-মালিকেরা অনড় থাকায় কোনও সমাধানসূত্র পাওয়া যায়নি।
সিআইডি-র সাইটে হানা
প্রায় দু’বছর পরে, বৃহস্পতিবার আবার সিআইডি-র ওয়েবসাইট ‘হ্যাক’ করার অভিযোগ উঠল। তবে দুষ্কৃতীরা কোনও নথি নিতে পারেনি বলেই দাবি গোয়েন্দা পুলিশের। কে বা কারা এতে জড়িত, জানা যায়নি। সিআইডি সূত্রের খবর, বিকেলে ওই সাইট খুলে দেখা যায়, হোম পেজটি হ্যাক করা হয়েছে। সাইবার বিশেষজ্ঞেরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় দুষ্কৃতীরা গোটা সাইটটি হ্যাক করতে পারেনি। ২০১২-র এপ্রিলেও পাকিস্তানের একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ওই সাইটটি হ্যাক করেছিল।