জখম সিপিএম কর্মী। ছবি: বিবেকানন্দ সরকার।
সমবায় ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির ভোট ঘিরে তৃণমূল-সিপিএমের মধ্যে রীতিমতো তির-ধনুক, গুলি-বোমা নিয়ে সংঘর্ষ হয়ে গেল। জখম হয়েছেন পাঁচ সিপিএম নেতা-কর্মী।
রায়গঞ্জ থানার কর্ণজোড়ার বিএড কলেজে ওই ব্যাঙ্ক পরিচালন সমিতির ভোটগ্রহণ কেন্দ্র হয়েছিল। গোলমাল বাঁধে সেখানেই। শনিবার বেলা ১১টা নাগাদ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যায় যে সামাল দিতে পুলিশ লাঠি চালায় তো বটেই, শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলিও ছোড়ে বলে খবর। পুলিশের অবশ্য দাবি, রবার বুলেট ছোড়া হয়েছে। সকালের ওই সংঘর্যে গুলি ও বোমায় জখম ৫ সিপিএম কর্মী-সমর্থককে রায়গঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জখমদের মধ্যে আছেন এবিটিএ-র উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু রায়চৌধুরী। মারধরে সিপিএমের ২ বিধায়কও জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। ভিড়ের মধ্যে ধস্তাধস্তির সময় সামান্য জখম হন রায়গঞ্জ থানার আইসি গৌতম চক্রবর্তীও।
সিপিএম নেতা এবং সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান বৈকুণ্ঠ বৈশ্যের অভিযোগ, তৃণমূল গায়ের জোরে পরিচালন সমিতির দখল নিতে ছক কষে বোমা-বন্দুক নিয়ে হামলা চালিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, পুলিশের মদতেই গোটা ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু তৃণমূলের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি তথা ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্যের পাল্টা দাবি, ‘‘ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু, সিপিএমের লোকজন তির-ধনুক নিয়ে বিনা প্ররোচনায় হামলা চালায়। তখনই মারপিট বাঁধে। সিপিএমের লোকজনদের আনা বোমা ফেটেই ওঁদের কর্মীরা জখম হন। আমাদের দিকে গুলি চালাতে গিয়ে নিজেদের কয়েকজনকেই জখম করে সিপিএমের দুষ্কৃতীরা। পুলিশকে সবই জানানো হয়েছে।’’